নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন –
মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৯ :
দেশে লবণ সংকটের গুজব রটানো হচ্ছে উল্লেখ করে, এ ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেছেন, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল লবণের সংকট রয়েছে বলে গুজব রটাচ্ছে। তারা অধিক মুনাফা লাভের আশায় লবণের দাম অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর অসাধু ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি করে দিতে চাই, সরকারের পক্ষ থেকে আজকে জিরো টলারেন্স আমরা। যে কোনো পর্যায়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমরা বাধ্য হব।’
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে সোনারগাঁও হোটেলে এসএমই ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নিটল নিলয় গ্রুপের গাড়ি বাজারজাতকরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী। তিনি জানান, দেশে লবণের কোনো সংকট নেই।
মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, ‘আজকে দেখা যাচ্ছে, কৃত্রিম কোনো অভাব সৃষ্টি করে নানাভাবে বাজারটাকে অস্থিতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছে। যখন একটা পণ্য স্থিতিশীল হয়ে যায়, আরেকটি পণ্যকে নিয়ে বিভিন্নভাবে অভাব সৃষ্টির চেষ্টা করছে।’
লবণ মজুতের বর্ণনা দিয়ে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বর্তমানে সাড়ে ৬ লাখ টনের বেশি ভোজ্য লবণ মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে লবণ চাষিদের কাছে ৪ লাখ ৫ হাজার টন, বিভিন্ন লবণ মিলের গুদামে ২ লাখ ৪৫ হাজার টন লবণ মুজত রয়েছে। এ ছাড়াও সারাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির ডিলার, পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ লবণ মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি চলতি নভেম্বর মাস থেকে লবণ উৎপাদন মৌসুম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলায় উৎপাদিত নতুন লবণও বাজারে আসতে শুরু করেছে।’
দেশে প্রতি মাসে ভোজ্য লবণের চাহিদা কম-বেশি ১ লাখ টন। লবণ মজুত আছে সাড়ে ৬ লাখ টন বলেও জানান শিল্পমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আরও ২ লাখ টন অন্যান্য লবণ মালিকদের কাছে আছে। সেই হিসাবে লবণের কোনো ধরনের ঘাটতি বা সংকট হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
অনুষ্ঠানে আরও কথা বলেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, নিটল নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমেদ, টাটা মটরসের সাউথ এশিয়া অঞ্চলের ম্যানেজার আসিফ শামীম, নিটল নিয়ল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মারিব আহমাদ, টাটা মটরসের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার মধু প্রকাশ সিং, নিটল মটরসের সেলস অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের সিইও তানবীর শহীদসহ ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা।