সাব্বির হোসেন | নরসিংদী প্রতিদিন –
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯ :
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে নরসিংদীর ডিবি পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে ইউসুফ মিয়া নামে এক আসামী শারীরিক অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান পুলিশ। ইউসুফ মিয়া বৃহস্পতিবার রাত আটটা চল্লিশ মিনিটের দিকে অসুস্থতা অনুভব করলে নয়টার দিকে তাকে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে অবস্থা খারাপ হলে পুনরায় জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, পলাশ থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন ও নরসিংদী জেলা ডিবি পুলিশের এসআই আব্দুল গাফফার পিপিএম (বার) ডাকাতি মামলায় জড়িত এক আসামি নারায়ণগঞ্জের জালকুড়ির মৃত আলী হোসেনের ছেলে মোঃ ইউসুফ মিয়া (৪৫) ও রোকসানা বেগমকে সকাল সাড়ে ছয়টায় রোকসানা বেগমের মালিকানাধীন মাধবদীর বিরামপুরের বাসা থেকে গ্রেফতার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্যমতে একই দিনে বিকেল সাড়ে চারটায় ফয়সাল ও কাইয়ূমকে পলাশ থানাধীন ঘোড়াশাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মামলার ঘটনায় জড়িত মর্মে তথ্য প্রদান করে এবং লুন্ঠিত মালামাল তাদের দখলে আছে মর্মে স্বীকার করে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করে নরসিংদীর পুলিশ।
পুলিশ আরো জানায়, রোকসানা ও ফয়সালকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের জালকুড়িতে অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার,৪০ ভরি রূপা, আসামি ফয়সালের বাড়ি থেকে নগদ ৭০,৫০০/ টাকা ও তারা কাটার যন্ত্র (কাটার) উদ্ধার করা হয়।
আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে। ইউসুফ মিয়ার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর ঘটনায় নরসিংদী মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এমএন মিজানুর রহমান জানান, ইউসুফ নামের যে রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল তার বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট ছিল। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে ঘোড়াশাল বাজারের ৫টি স্বর্ণের দোকানসহ ৬টি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা ১০৯ ভরি স্বর্ণালংকার, প্রায় ২/৩ শত ভরি রৌপ্য ও নগদ ১৮ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।