বিনোদন ডেস্ক | নরসিংদী প্রতিদিন –
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ :
জন্ম থেকে তার দুই পা নেই। তবু তাকে দমাতে পারেনি তার এই শারীরিক অপারগতা। ছুটে চলার অদম্য ইচ্ছায় আর তীব্র মনোবলের জোরেই বর্তমানে তিনি একজন সুপার মডেল। চমকে দিয়েছেন গোটা বিশ্বকে। অসাধারণ এই নারী সেসর নামেই পরিচিত।
২৩ বছরের সেসরের জন্ম থাইল্যান্ডে। জন্ম থেকেই শারীরিকভাবে পঙ্গু শিশুকে মেনে নিতে পারেনি বাবা-মা। নিষ্ঠুর এই পিতা-মাতা জন্মের এক সপ্তাহ পরেই অক্ষম সেসরকে ফেলে যান বৌদ্ধ মন্দিরের পাশের রাস্তায়।
এরপর শিশু সেসরের ঠিকানা হয় অনাথ আশ্রমে। সেখান থেকেই তাকে দত্তক নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যান জিমি ও মারিয়ান সেসর নামের এক দম্পতি। সন্তান স্নেহে বড় করেন শারীরিক ভাবে বিকলাঙ্গ মেয়েকে।
কিন্তু ইতিহাস সৃষ্টি করাই যার নিয়তি তাকে তো ঈশ্বরই লালন পালন করবেন। আর তা প্রমাণ হয় ঠিক ২২ বছর পর যখন বিভিন্ন নামী পোশাক নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সুপরিচিত মডেল হয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন সেসর।
দি ইনডিপেন্ডেন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেসর জানিয়েছে, শুধু বিজ্ঞাপন থেকেই মাসে ৬০ হাজার ডলার রোজগার হয় তার। মডেলিংয়ের পাশাপাশি আরও একটি খেলাতে দক্ষ কন্যা সেসর। স্কেটিং। ছোটবেলা থেকে হুইল চেয়ারের বদলে স্কেটবোর্ডকেই আপন করে নেন তিনি।
পরবর্তীতে স্কেটিংয়ে প্যারাঅলিম্পিকেও অংশ নিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত শীতকালীন প্যারাঅলিম্পিকসে অংশগ্রহণ করেছিলেন সেসর।
সেসর আরও জানান, মহিলাদের অন্তর্বাসের বিজ্ঞাপন করে দিনে ১ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেন তিনি। নিজের প্রতিবন্ধকতার জন্য এতটুকু অনুশোচনা নেই তার।
নিজেকে ভালোবেসে আত্মবিশ্বাসী সেসর জানান, ‘নিজেকে আবেদনময়ী অনুভব করার জন্য আমার পায়ের দরকার নেই। আমি সবাইকে দেখাতে ভালোবাসি যে সৌন্দর্য কেমন হতে পারে।’