নিজস্ব প্রতিবেদক | নরসিংদী প্রতিদিন-
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯ : মাধবদী থানায় গণধর্ষণ মামলায় পাঁচ জন মিলে ধর্ষণ করে বলে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে গ্রেফতারকৃত মোতালিব। বৃহস্পতিবার দুপুরে জবাসবান্দি শেষে মোতালিব(২৭) নামে এক যুববকে জেলা হাজতে প্রেরণ করেন বিজ্ঞ আদালত। গ্রেফতারকৃত আসামি মহিষাশুড়া ইউনিয়নের নিয়র আলী ছেলে মোতালিব (২৭)। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান। তিনি আরো জানান এ ঘটনায় মোতালিব সহ আরো চার সহযোগি জড়িত রয়েছে তারা হলো মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বালুচর গ্রামের মমতাজ উদ্দিন মমতার ছেলে আমনুল্লা(৩২), রুহল এর ছেলে শামিম (৩২), মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ইমরান (৩৪), এমিল এর ছেলে মো: শাওন (২৩)। গত মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সাড়ে ৮টায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মীর কায়েস সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাধবদী শহরের কলেজ রোড থেকে এ মামলার প্রাধান আসামিকে গ্রেফতার করে। পরে দুপুরে তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে নরসিংদীর বিজ্ঞ আদালতে মোতালিবকে সোপর্দ করা হয়। বিজ্ঞ আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
মামলার বিবরণে জনা যায়, গত ৭ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় বালুচর এলাকা থেকে রিকশা যুগে ১৭ বছরের এক কিশোরী আনন্দীতে সাবেক রেলসড়ক এলাকায় পৌছালে তার গতিরোধ করে একদল যুবক। পরে ওই কিশোরীকে একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় জোর পূর্বক তুলে নিয়ে মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বউত্তাদির ব্রীজ সংলগ্ন নিয়ে যায়। রাত ৯টার দিকে ভয়ভীতি দেখাইয়া চরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে জানাইলে কিশোরীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় লম্পট দলের সদস্যরা। ওই কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে ব্রীজের পাশে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ধর্ষণকারীরা। পরে অজ্ঞাত যুবকের মুঠোফোনে খবর পেয়ে কিশোরীকে উদ্ধার করেন স্বজনরা।
এ ঘটনায় কিশোরীর মা’ জুলেখা বেগম বাদী হয়ে মাধবদী থানায়, পাঁচজনকে আসামি করে এক মামলা দায়ের করেন।