1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

যে কারণে মনোনয়ন পেলেন না সাঈদ খোকন

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ১৯১ পাঠক

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন-
রোববার,২৯ ডিসেম্বর ২০১৯: গেল বুধবার দুপুরের পর হঠাৎ করেই গণমাধ্যমে খবর আসতে থাকে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হতে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব শেখ ফজলে নুর তাপস। গুঞ্জন আর কানাঘুষার শুরুটা তখন থেকেই। শেষ পর্যন্ত তা-ই হলো। দক্ষিণের বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনকে সরিয়ে নতুন মেয়র প্রার্থী হিসেবে ফজলে নুর তাপসের নাম ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আর তাতে করে নৌকার বৈঠা এক থাকলেও হাতটা বদলে গেলো।

তাপসের মনোনয়ন সংগ্রহের একদিন পরই বৃহস্পতিবার ধানমণ্ডি কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তুলেন সাঈদ খোকন। এসময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আজকে রাজনীতিতে আমার জন্য একটু কঠিন সময় যাচ্ছে। এ কঠিন সময়ে প্রিয় দেশবাসী, ঢাকাবাসী আমার জন্য দোয়া করবেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিভাবক হিসেবে মান্য করার কথা জানিয়ে তখন তিনি আরও বলেন, ‘আমার পিতা মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, পিতার হাত ধরে আমি রাজনীতিতে এসেছি। আজ পিতা নেই, পিতাকে হারিয়েছি। পিতার অবর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার অভিভাবক। আমার জন্য তিনি যা ভালো মনে করবেন; তিনি সেটাই করবেন।’

গত সাড়ে চার বছরে ঢাকা শহরের ইতিবাচক পরিবর্তনের দাবি করে সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমি অনেক কাজ করেছি। কিছু কাজ এখনও বাকি আছে। আমি যেন বাকি কাজগুলো শেষ করতে যেতে পারি। আজকে ঢাকাবাসীর কাছে দোয়া চাই এবং বলতে চাই- আমি কখনও কর্তব্যে অবহেলা করিনি। আজকে এই কঠিন সময়ে দেশের মানুষ যদি আমার পাশে দাঁড়ান, ইনশাল্লাহ্ আগামী ৫ বছর আমি তাদের পাশে থাকবো।’

ধারণা করা হচ্ছিল- এবার দক্ষিণ সিটিতে নতুন মুখ দেবে আওয়ামী লীগ। আর তাপস যেহেতু মনোনয়ন তুলেছেন হিসাবের পাল্লাটা তার দিকেই ভারি থাকতে পারে। তবে মনোনয়ন সংগ্রহের দিন রাতেই সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্বাচনের জন্য কাজ করতে বলেছেন। কাল (শুক্রবার ২৭ ডিসেম্বর) থেকে আমি নির্বাচনী কাজ শুরু করবো।’

কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাঈদ খোকনের হাতে নৌকার বৈঠা দেয়া হয়নি। কারণ হিসেবে অনেকেই মনে করছেন, ঢাকাবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থতা, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে না পারা, নাগরিক সুযোগ-সুবিধা উন্নয়ন না করা এবং বিশেষত কয়েক মাস আগে মহামারি ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে অপ্রত্যাশিত কিছু বক্তব্য তাকে মনোনয়ন বোর্ডের নজর থেকে কিছু দূরে ঠেলে দিয়েছে।

তবে সাঈদ খোকন নিজে বরাবরই দাবি করেছেন, কতর্ব্যে তিনি কখনও অবহেলা করেননি। এরইমধ্যে গেল ২৫ জুলাই এক অনুষ্ঠানে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যাকে ‘গুজব’ বলে তোপের মুখে পড়েছিলেন সাঈদ খোকন।

তিনি বলেছিলেন, ‘মশা নিয়ে রাজনীতি কাম্য নয়। সাড়ে তিন লাখ আক্রান্তের যে তথ্য এসেছে সেটি কাল্পনিক। এটা সম্পূর্ণভাবে কাল্পনিক, বিভ্রান্তিমূলক। ছেলে ধরা আর সাড়ে তিন লাখ ডেঙ্গু আক্রান্তের তথ্য একই সূত্রে গাঁথা।’

তার এই বক্তব্যে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকাসহ সারাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।

সাঈদ খোকনের বাবা মোহাম্মদ হানিফ ছিলেন অবিভক্ত ঢাকা সিটির প্রথম নির্বাচিত মেয়র। ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল সবশেষ ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মির্জা আব্বাসকে ২,৪১,০০৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবার মেয়র নির্বাচিত হন সাঈদ খোকন।

মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শুরু থেকেই নানা বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দেন তিনি। ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর আজিমপুরের পার্ল হারবাপল কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন আওয়ামী লীগের কর্মী সমাবেশের পাশে পাল্টা কর্মসূচি দেন সাঈদ খোকন। এমনকি আওয়ামী লীগের ওই সমাবেশের সামনে ট্রাকে করে সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার ঘটনায় তাকেই দোষারোপ করা হয়। ওইসময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ ও মেয়র খোকনের মধ্যে দ্বন্দ্ব দলীয়ভাবে ব্যাপক সমালোচিত হন।

এরইমধ্যে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় মেয়র পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। শেখ হাসিনা ছাড়াও ওই বৈঠকে ওবায়দুল কাদের, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শ্রী রমেশ চন্দ্র সেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আবদুর রাজ্জাক, মাহবুব-উল-আলম হানিফ ও আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ওই বোর্ড সদস্যরা সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে মতামত দেয়ার পর সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের ডাকা হয়। তবে তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না সাঈদ খোকন। পরে তাকে ফোন করে আনা হয়। এর পর গণভবনের মঞ্চের পাশে একটি চেয়ারে দীঘক্ষণ চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায় তাকে। বের হয়ে যাওয়ার সময়ও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। চোখে-মুখে ছিল মলিনতা।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD