লক্ষন বর্মন | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার ১৩ জানুয়ারী ২০২০:
নরসিংদীতে তৃতীয় শ্রেনীর এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়েছে। রবিবার (১২ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের রাজাদী গ্রামে একটি কলা ক্ষেতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সাড়ে ৮টায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেয় কতব্যরত চিকিৎসক। ধর্ষনের শিকার শিশুটি স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্রী। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও ধর্ষনের শিকার শিশুটির পরিবার নরসিংদী প্রতিদিনকে জানায়, ধর্ষনের শিকার শিশুটি সন্ধ্যার পর কালীর বাজারে পিঠা আনতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে রাজাদী গ্রামের নার্সারীর কাছে পৌঁছলে পলাশ উপজেলার মাঝেরচর গ্রামের কলা বেপারী আলামিন নামে তাঁর গতিরোধ করে। পরে শিশুটির মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্ত্তী একটি কলা ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গামছা দিয়ে শিশুটির মুখ বেঁধে ধর্ষন করে। এসময় তাঁর ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় আলামিন। পরে স্থানীয়রা পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক ও পরে অবস্থার অবনতি হলে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ রাতে হাসপাতালে ছুটে আসে। এদিকে ধর্ষনের শিকার শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে শিশুটিকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শিশুটির রিকশাচালক বাবা নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন, এমন একটা শিশু বাচ্চার উপর এমন অমানুষিক নির্যাতন কিভাবে সইব। আমি এই নরপশুর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মাহমুদুল কবীর জানান, প্রাথমিক অবস্থায় ছাত্রীটিকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। অবস্থা গুরত্বর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একটি টিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে ধর্ষকে গ্রেপ্তারের জন্য ওসি তদন্তের নেতৃত্বে একটি টিম পলাশ অভিযান শুরু করে দিয়েছে। আশা করছি স্বল্প সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।