1. khandakarshahin@gmail.com : Breaking News : Breaking News
  2. laxman87barman@gmail.com : laxman barman : laxman barman
  3. shahinit.mail@gmail.com : narsingdi : নরসিংদী প্রতিদিন
  4. msprovat@gmail.com : ms provat : ms provat
  5. hsabbirhossain542@gmail.com : সাব্বির হোসেন : সাব্বির হোসেন
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০

নয়শ বছরের প্রাচীন নিদর্শন খুলনার মসজিদকুঁড়

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন
  • প্রকাশের তারিখ | বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২০
  • ৩৩১ পাঠক

ডেস্ক রিপোর্ট | নরসিংদী প্রতিদিন –
বৃহস্পতিবার,১৬ই জানুয়ারী ২০২০ইং:
খুলনার প্রাচীন ঐতিহ্য ও নিদর্শনের মধ্যে মসজিদকুঁড় অন্যতম। জেলার পাইকগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী ও কয়রা উপজেলার শুরুতে কপোতাক্ষ নদের তীরঘেঁষে প্রাচীনতম এ মসজিদকুঁড় মসজিদটি নির্মাণ করা হয়।

প্রায় ৯শত বছর আগে হজরত খানজাহান (র.) এর সহচর বুড়া খাঁ ও তার পুত্র ফতেখাঁ কে মসজিদকুঁড় মসজিদের নির্মাতা বলে ধরা হয়। প্রাচীন এই নিদর্শন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় রক্ষণাবেক্ষণ করছে। মসজিদকুঁড় মসজিদটিতে এলাকাবাসী নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও শুক্রবারে জুম্মার নামাজ আদায় করে থাকেন।

জানা যায়, স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী খানজাহান আলী (রহঃ) ঝিনাইদহের বারবাজার থেকে স্ব-দলবলে যশোরের মুড়লী পর্যন্ত পৌঁছে একদল সঙ্গী নিয়ে বাগেরহাটের দিকে যান এবং তার বিশ্বস্ত সহচর বুড়াখাঁ’র নেতৃত্বে আরেকটি দলকে মসজিদকুঁড় বেদকাশী অঞ্চলের দিকে প্রেরণ করেন। খানজাহান আলী (রহঃ) এর নির্দেশ ও দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পথের বিভিন্ন স্থানে জলাশয় খনন, রাস্তা ও মসজিদ নির্মাণ করেন।

বর্তমান পাইকগাছা উপজেলায় বুড়াখাঁ’র সঙ্গী সরল খাঁ দীঘি, লস্কর দীঘি, চালধোয়া পুকুরসহ কয়েকটি জলাশয় এখনো স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছে। স্থানীয় অনেকেই জানান, পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে পাইকগাছার সীমান্তবর্তী কয়রা উপজেলার শুরুতেই কপোতাক্ষ নদীর তীরে নির্মাণ করা হয় মসজিদকুঁড় মসজিদ। মসজিদের দক্ষিণে কপোতাক্ষ নদ আর পশ্চিম দিকে রয়েছে খাল। এটি পরিখাঁ ছিল বলে অনেকেই বলে থাকেন। মসজিদের কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি। তবে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ ও মসজিদকুঁড়ের নয়গম্বুজ মসজিদের গঠন প্রণালি ও স্থাপত্য কৌশলের সাদৃশ্য থাকার কারণে এটি খানজাহান আলী (রহঃ) এর নির্মিত বা সমসাময়িক বলে ধারণা করা হয়।

এলাকার প্রবীনদের ধারণা তৎকালীন এলাকার জঙ্গলের কাঠ কেটে কলিকাতায় বিক্রি করা হতো। এ সময় মসজিদটির সন্ধান পাওয়া যায়। ভারতবর্ষ ও পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর থেকে নামাজ পড়ার জন্য মসজিদটি ব্যবহার হয়ে আসছে। মসজিদের চারকোণে চারটি গোলাকার ট্যারেট আছে। বিরাট আকারের মিনারগুলি ছাদের কার্ণিশের উপরে ওঠেনি। এগুলিকে চারটি গোলাকার ও স্ফীত রেখা দ্বারা অলংঙ্কৃত করা রয়েছে। মসজিদের বাইরের দেয়াল দক্ষিণ, পূর্ব ও উত্তর দিকে পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা অলংঙ্কৃত ছিল। খিলান ও কার্ণিসের উপরেও অনুরূপ অলংঙ্করের কাজ ছিল। অলংঙ্কৃতের মধ্যে রয়েছে পদ্মফুল, মালা, বিলম্বিত রজ্জু ও ঘন্টাসহ বিভিন্ন প্রতিকৃতি।

মসজিদের অভ্যন্তরে রয়েছে ৪টি প্রস্তর স্তম্ভ, ইটের তৈরি ভিত্তিবেদীর উপরে প্রতিষ্ঠিত প্রত্যেক স্তম্ভ ২টি করে পাথরের সাহায্যে নির্মিত। উচ্চতার সমতা রক্ষার জন্য নিটে ইটের তৈরি ভিত্তিবেদী কমবেশী উঁচু করে নির্মিত। ৪টি প্রস্তর স্তম্ভ ও চারিদিকের দেয়ালের উপর খিলানের সাহায্যে নির্মিত হয়েছে মসজিদের ৯টি গম্বুজ। ভিতরের খিলান ও গম্বুজ গুলির নির্মাণ কৌশল খুবই উঁচু মানের। কেন্দ্রীয় গম্বুজটি অন্যগুলির চেয়ে আকারে কিছুটা বড়।

মসজিদ সংলগ্ন প্রতিবেশীরা জানান, বর্তমানে ৪৫ শতক মতো জায়গার উপর মসজিদের অবস্থান রয়েছে। এক সময় এখানে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শত শত মানুষ বিভিন্ন স্থান থেকে দেখতে আসে। অনেকেই রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভের জন্য, আবার অনেকেই মনোবাসনা পূরণের জন্য মানত করতে আসতো। তবে এটি কুসংস্কার ভেবে গত ১০ বছর আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের থাকার সু-ব্যবস্থা ও সংরক্ষণসহ সরকারিভাবে মসজিদকুঁড় মসজিদটির উন্নয়নের উদ্যোগ নিলে ৯শ বছরের পুরাতন কীর্তি হিসেবে মসজিদকুঁড় মসজিদটি হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম দর্শনীয় স্থান।

মসজিদের ইমাম মাহমুদুল হাসান বলেন, এমন একটি প্রাচীনতম মসজিদের দায়িত্ব পালন করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।



সংবাদটি শেয়ার করিুন

এই পাতার আরও সংবাদ:-



বিজ্ঞাপণ দিতে ০১৭১৮৯০২০১০



DMCA.com Protection Status
টিম-নরসিংদী প্রতিদিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শাহিন আইটি এর একটি প্রতিষ্ঠান-নরসিংদী প্রতিদিন-
Theme Customized BY WooHostBD