খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন-
সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ : নরসিংদী সদর উপজেলায় নজরপুর ও পাইকারচর ইউনিয়নে মেঘনা নদী পাড়ের মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ঢাকায়। কিছু অসাধু চক্র স্থানীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে মেঘনার তীরবর্তী জমির মালিকদের ফুসলিয়ে মাটি ক্রয় করছে। পরে এসব জমির মাটি বেকু দিয়ে কেটে নিয়ে নদী পাড়ে মজুত করে রাখছে, অধিক মুনাফায় বিক্রি করছে ঢাকার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় ফসলী জমির মাটি কেটে ইটভাটা গুলোতে বিক্রি করছে একাধিক চক্র।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পাইকারচর ও নজরপুর ইউনিয়নে মেঘনা নদীর পার্শ্ববর্তী জমিগুলোতে বেকু দিয়ে মাটি কাটার মহোসৎব। মেঘনার পাড় থেকে মাটি নৌকায় তুলতে কাজ করছে কয়েকশ শ্রমিক। আরো দেখা গেছে বেকু দিয়ে ফসলী জমির মাটি কেটে ১৫ থেকে ২০টি ট্রাক্টর-ট্রলি বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী ইটভাটা গুলোতে। এভাবেই গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
জানতে চাইলে এক শ্রমিক জানান, গ্রামের মাটি গুলো ঢাকায় ও ইটভাটায় যাচ্ছে,এসব মাটি স্থানীয় মাতাব্বরদের হাত ধরে বিক্রী করছে জমির মালিকরা।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদী পাড়ের জমির মালিকদের লোভ দেখিয়ে মাটি ক্রয় করে প্রভাবশালী মহলের লোকেরা। পড়ে একজনের মাটি কেটে নেওয়ার ফলে, বিপাকে পরে অন্য জমির মালিকরা। পরে বাধ্য হয়ে তারা জমির মাটি বিক্রি করছে।
এদিকে সদর উপজেলার নজরপুর গ্রামে মেঘনার তীরবর্তী চরের মাটি গুলো কেটে নেয়া হচ্ছে, এ মাটি কাটার ফলে নদীর তীরবর্তী বাড়ীঘর গুলো ভাঙনের আশংঙ্কা রয়েছে। আরও হুমকিতে পড়ছে নজরপুর ইউনিয়নের বিশাল এলাকা; অপরিকল্পিত ভাবে মাটি কাটায় প্রশস্ত হচ্ছে মেঘনা নদী। যে কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে মেঘনার তীর রক্ষা বাঁধ। এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক।
এসব মাটি কাটা রুখতে পানিউন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আশু হস্তক্ষেপ কমানা করছেন স্থানীয়রা।