সাব্বির হোসেন | নরসিংদী প্রতিদিন –
শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০: মরণঘাতী করোনাভাইরাসে নরসিংদী জেলায় প্রথম যে রোগী শনাক্ত হয় তিনি হলেন পলাশ উপজেলা ডাংগা ইউনিয়নের ইসলামপাড়া গ্রামের মুফতি শামিম মিয়া। তিনি করোনার সাথে ১০দিন যুদ্ধে করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলেন। আজ শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা তাকে করোনামুক্ত ছাড়পত্র দিলে বাড়ি ফিরে যান। বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেলে অফিসার ডা. নাজমুল হক জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মুফতি শামিম মিয়া এ হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপর দুইবার তার নমূনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাই শামিম মিয়াকে করোনামুক্ত ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) ফারহানা আলী জানান, শামিম মিয়া সুস্থ হয়ে যাওয়ায় তার বাড়ির লকডাউন (তালা) খুলে দেওয়া হবে। তার বাড়ির কেউ যেন অহেতুক বের না হয় সে বিষয়ে কড়া নজরদারিতে রাখা হবে।
উল্লেখ্য, করোনায় সুস্থ হওয়া মুফতি শামিম মিয়া নারায়ণগঞ্জ থেকে আক্রান্ত হয়েছিল। সেখানে তিনি একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করতো। পাশাপাশি সেখানেই মসজিদে ইমামতি করতো। তিনি নিজেকে করোনা সন্দেহে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নমুনা দিয়ে আসেন। পরে ৬ এপ্রিল তার রিপোর্টে করোনা রোগ শনাক্ত হলে ডাংগার ইসলামপাড়া গ্রামে তার বাড়ি ও সব দোকানপাট বন্ধ করে পলাশ উপজেলা প্রশাসন লকডাউন করে দেয়। ৭ এপ্রিল শামিম মিয়াকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পাশাপাশি তার পরিবারের ৯ সদস্যদের করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার দুপুরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে