সাব্বির হোসেন | নরসিংদী প্রতিদিন-
শুক্রবার, ১৭ এপ্রিল ২০২০ : করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে (৯ এপ্রিল) থেকে নরসিংদী জেলা লকডাউন হলেও পলাশ উপজেলায় যত দিন যাচ্ছে ততই নিয়ম ভাঙার প্রতিযোগিতা চলছে। বিভিন্ন অজুহাত নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছেন অনেকেই। আবার প্রধান সড়কেও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বেড়েই চলছে যানবাহন। পুলিশ প্রশাসন দিনরাত পরিশ্রম করেও থামাতে পারছেনা মানুষের অবাধ বিচরণ। এমন অবস্থা চলতে থাকলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে গিয়ে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে এমন শঙ্কা অনেকেরই। মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে পলাশ উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ জাবেদ হোসেন, পলাশ উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা (অ.দা.) ফারহানা আলী, পৌর মেয়র আলহাজ্ব শরীফুল হক, পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন, ঘোড়াশাল ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জহিরুল আলমসহ আরো অনেকেই করোনা প্রতিরোধ জনসচেতনতা বাড়াতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী প্রতিদিন যৌথ অভিযান পলাশের বিভিন্ন স্থানে পরিচালনা করে জরিমানা করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব ও মানুষকে ঘরে রাখতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন। জনসমাগম দূর করতে পলাশ উপজেলায় পুলিশের একাধিক টহল টিম কাজ করছে। কিন্তু পুলিশ চলে যাওয়ার পর পরই পুনরায় বের হয়ে আসছে মানুষ। ঘোড়াশাল পৌর প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কয়েকটি বাজার খোলা মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পলাশের স্থানীয় সাংসদ, ঘোড়াশাল পৌরসভা, ফাঁড়ি পুলিশ ও ব্যক্তি পর্যায় থেকে অনেকেই হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন। এসবের পরেও ঘরের বাহির হওয়া মানুষদের ঠেকানো যাচ্ছে না। আজ সরেজমিনে পলাশ ও ঘোড়াশালের প্রধান সড়কে অনেককেই হাটতে দেখা গেছে। তারা বিভিন্ন অজুহাতে রাস্তায় বের হয়েছেন। এ যেনো করোনা ভাইরাসকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে বীর দর্পে এগিয়ে চলা। বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে দলবেঁধে হাটাহাটি। রাস্তায় ছিল মটরসাইকেল, রিকশা ও মিশুকের অবাধে যাতায়াত। এদিকে করোনা মোকাবিলায় ঘরে থাকার নির্দেশনা মানাতে প্রশাসনকে আরো কঠোর হবার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই।