খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন –
বৃহস্পতিবার-৩০ এপ্রিল ২০২০:
চলমান করোনাভাইরাস মহামারি সংকটে সবচেয়ে কষ্টে আছেন মধ্যবিত্ত ও সাংবাদিকদের পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের মালিকের হিমশিম খেতে হচ্ছে বেতন ভাতা বকেয়া পরিশোধ করতে। আর জেলা/উপজেলা পর্যায় সাংবাদিকদের কোন উপার্জন না থাকায় পরিবার নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন। দেশের এই ক্লান্তিময় সময়ে কষ্টে থাকা পরিবার গুলো খুঁজে বের করে বিত্তবান ও সরকার তহফিল থেকে অনুদান অতি জরুরী।
কয়েকজন মধ্যবিত্তরা বলেন, আমাদের বড় সম্পদ আত্মসম্মান। আমরা ত্রাণের জন্য না পারছি লাইনে দাঁড়াতে, পারছি না কারো কাছে হাত পাততে। আমাদের বুকের ভেতর এক অজানা অনিশ্চিত।
যারা দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল, তারাই সবচেয়ে বেশি বিপদে। এ রকমই অনেক পরিবারের কর্তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, রাস্তার পাশে খাবার হোটেল, কারো ফটোকপি ও কম্পিউটার দোকান, আবার কারো ফুতপাত ও মার্কেটে কাপড়ের দোকান রয়েছে, সেখানে প্রতিদিন যা আয় হতো তা দিয়ে পরিবারের সদস্যের সংসার খুব ভালোভাবেই চলতো।
এমনকি গ্রামের বাড়িতেও বাবা-মায়ের জন্য মাসে মাসে টাকা পাঠাতে পারতেন তারা। কিন্তু দেশের এই পরিস্থিতিতে গ্রামের বাড়িতে টাকা পাঠানোতো দূরের কথা নিজেদেরই এখন না খেয়ে থাকার উপক্রম হয়েছে। তারা বেশ আক্ষেপ নিয়ে বলেন, বড়লোকের টাকা আছে, গরিবরা ত্রাণ পাচ্ছে আর মধ্যবিত্তরা এখন অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে।
বিশিষ্টজনেরা বলছেন, সাংবাদিকরা পরিবারের লোকজনদের নিয়েও বিপদে আছে। তাদের অনুদানের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে।
আর খাদ্য সহায়তার জন্য মধ্যবিত্ত ও সাংবাদিকরা লাইনে দাঁড়াতে পারছে না। তাদের নগদ অর্থ দিয়ে আধুনিক রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করলে প্রত্যেককে কার্ড দিয়ে অনলাইনে টাকা পরিশোধ করবে। এতে খাদ্যপণ্য তাদের বাসায় পৌঁছে যাবে। এর জন্য দরকার নীতিমালা প্রণয়নের।