বাংলাদেশসহ বর্তমান বিশ্বে চা একটি জনপ্রিয় পাণীয়। সারা দিনের কাজের ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চা বা কফির বিকল্প নেই। তবে এই চা বা কফি পানের ক্ষেত্রে সর্তক থাকতে হবে। সবার আগে দেখতে হবে কোন কাপে চা পান করা হচ্ছে। কাপটি যদি প্লাস্টিকের হয় তবে ভুলেও এই কাপে চা পান করা উচিত নয়।
করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে রাস্তার ধারের কোনও দোকানে দাঁড়িয়ে চা-কফি খাওয়া মানেই হলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্লাস্টিকের কাপে খাওয়া। গবেষকদের মতে, ভুলেও প্লাস্টিকের কাপে চা খাওয়া ঠিক নয়। তাদের মতে, প্লাস্টিকের তৈরি পানির বোতল ও শিশুদের দুধের বোতল, প্লাস্টিকের পাত্রের খাবার মাইক্রো ওয়েভেনে গরম করা, প্লাস্টিক মোড়কে বিক্রি হওয়া খাবার ডেকে আনছে এমন নানা রোগ।
গবেষকদের মতে, প্লাস্টিকের মধ্যে থাকা বিসফেনল-এ নামের টক্সিক এ ক্ষেত্রে বড় ঘাতক। গরম খাবার বা পানীয় প্লাস্টিকের সংস্পর্শে এলে ওই রাসায়নিক খাবারের সঙ্গে মেশে। এটি নিয়মিত শরীরে ঢুকলে নারীদের ইস্ট্রোজেন হরমোনের কাজের স্বাভাবিকতা বিঘ্নিত হয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে শুক্রাণু কমে যায়। এছাড়া হার্ট, কিডনি, লিভার, ফুসফুস এবং ত্বকও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি, স্তন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
গবেষণা থেকে আরো জানা যায়, প্লাস্টিকের কাপ তৈরিতে যে উপাদান ব্যবহার করা হয়, সেগুলি বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে ক্লান্তি, হরমোনের ভারসাম্যতা হারানো, মস্তিষ্কের ক্ষমতা কমে যাওয়া-সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বোতল বা পাত্র তৈরিতে ব্যবহৃত পলিভিনাইল ক্লোরাইডকে (পিভিসি) নরম করা হয় থ্যালেট ব্যবহার করে। এই থ্যালেট আমাদের শরীরের পক্ষে বিষ।
শরীরে এই রাসায়নিক নিয়মিত ঢুকতে থাকলে শ্বাসকষ্ট, স্থূলতা, টাইপ ২ ডায়াবিটিস, কম বুদ্ধাঙ্ক, অটিজম, ব্রেস্ট ক্যানসারের মতো অসুখ শরীরে বাসা বাধে। তাই দীর্ঘদিন সুস্থ শরীরে বাঁচতে এখই বর্জন করুন, এড়িয়ে চলুন প্লাস্টিকের কাপ, গ্লাস, পাত্র।
এই মাটির কাপ প্রথম পর্যায়ে চায়ের দোকানিদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে। প্রথম অবস্থায় দোকানি দের উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে তারা যেন মাটির কাপ ব্যবহার করে, এতে যেমন মানবদেহর ক্ষতি কম হবে তেমনি আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য কুমারদের পেশা ধরে রাখতে পারবে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপি নগরীর বিভিন্ন চায়ের দোকানে লায়ন্স ক্লাব অব রাজশাহীর উদ্যোগে মাটির কাপ বিতরণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন লায়ন আবুল কালাম মাসুদ, লায়ন ড. এস এম এ মান্নান, লায়ন মো. ইফতিয়ার মাহমুদ বাবু,লায়ন আনুয়ারুল ইসলাম,লায়ন সেলিনা খান সাথী, লায়ন তাসলিমা ডালিয়া, লায়ন আবরার হোসেন তুহিন, আরো উপস্থিত ছিলেন লিও ক্লাব অফ রাজশাহী মেট্রোপলিটন ক্লাব সভাপতি আজিমা পারভিন টুকটুকি ও লিও ক্লাব সদস্যরা।
প্রোগ্রাম চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন লায়ন আবুল কালাম মাসুদ। তারা পর্যায়ক্রমে রাজশাহী শহরের সকল চা বিক্রেতা দের লায়ন্স ক্লাব এর পক্ষ থেকে একবার করে বিনামূল্য বিতরণ করবেন। ক্লাব এর ধারাবাহিক কার্যক্রম হিসাবে করোনা ভাইরাস সচেতনতা মূলক লিফলেট, ফেস মাস্ক জনসাধারণ এর মাঝে বিতরণ করা হয়।