লুইস সুয়ারেজের বার্সেলোনা অধ্যায় শেষ হয়ে এসেছে। তার জায়গায় ক্লাবটির পছন্দ আর্জেন্টাইন স্টাইকার লাউটারো মার্টিনেজ। ইন্টার মিলান থেকে মার্টিনেজকে দলে নেওয়ার জন্য বহুদিন ধরেই আলোচনায় তারা। সুয়ারেজ নিজেও গত বছর সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন, নিজের উত্তরসূরি হিসেবে বার্সার জার্সিতে লাউটারোকেই দেখতে চান।
কিন্তু চাইলেই তো আর হয় না। ক্লাবে-ক্লাবে ঐক্যও হওয়া দরকার। তাতেই আটকে আছে বার্সা-ইন্টারের আলোচনা। একটা নির্দিষ্ট তারিখ (১৫ জুলাই) পর্যন্ত মার্টিনেজের রিলিজ ক্লজ ছিল ১১ কোটি ইউরো।
সে তারিখের আগে বার্সা যদি লাউটারোকে কিনতে পারত, ওই দামই পরিশোধ করা লাগত। দাম কমানোর যাবতীয় চেষ্টা করেছে বার্সেলোনা, তবে ইন্টার এক পয়সাও কমাতে রাজি হয়নি। ১৫ জুলাই পার হয়ে যাওয়ার পর আবার রিলিজ ক্লজের শর্তটাও বাতিল হয়ে যায়। এখন আবার নতুন করে আলোচনায় বসা লাগবে বার্সা-ইন্টারের। তখন ১১ কোটি নয়, যত খুশি তত দাম হাঁকাতে পারবে ইন্টার। অর্থাৎ, গোটা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ এখন ইন্টারের হাতে।
ওদিকে বিভিন্ন কারণে বার্সেলোনাও পুরো ১১ কোটি ইউরো পরিশোধ করার পরিস্থিতিতে নেই। বিভিন্ন ভাবে দাম কমানোর চেষ্টায় আছে তারা। প্রস্তাবিত চুক্তিতে বিভিন্ন খেলোয়াড় ঢুকিয়ে দাম কমাতে চাইছে তারা বহুদিন ধরেই। লাভ হয়নি। নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেনি ইন্টার। শেষমেশ নিজেরা না পেরে লাউটারোকে পাওয়ার জন্য পর্তুগিজ ‘সুপার এজেন্ট’ হোর্হে মেন্দেজের সহায়তা নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে স্প্যানিশ ক্লাবটা।
দলে যেসব খেলোয়াড় ব্রাত্য হয়ে গেছেন, তাদের বিক্রি করে যা টাকা আসবে, তা দিয়েই লাউটারোকে কেনার চেষ্টা করবে বার্সেলোনা, আপাতত পরিকল্পনা এমনটাই। এর মধ্যেই দল ছেড়ে চলে গেছেন ইভান রাকিতিচ। ক্লাব ছাড়তে পারেন আর্তুরো ভিদাল ও লুইস সুয়ারেজও। জুনিয়র ফিরপো, স্যামুয়েল উমতিতি, জ্যাঁ-ক্লাইর তোদিবো, রাফিনহা আলকানতারা, জর্দি আলবারাও যে খুব ভালো অবস্থায় আছেন, তা নয়। ভালো প্রস্তাব পেলেই তাদের বিক্রি করে দেবে বার্সেলোনা। আর এই বিক্রির কাজেই মেন্দেজের সাহায্য চাইছে বার্সা, এমনটাই খবর।
ওদিকে ভিদাল ইন্টারে যোগ দিতে পারেন, এমনটা শোনা যাচ্ছেন। ফিরপোও যেতে পারেন ভিদালের পিছু পিছু। এই দুই খেলোয়াড়কে পেয়ে ইন্টারের যদি মন গলে, তাতে বার্সেলোনারই লাভ!