উজানের পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে পঞ্চম বারের মতো তিস্তার পানি বেড়ে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পরিবারগুলো।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৮২ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে যা ক্রমে বাড়ছে।
পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিঙ্গিমারী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, তুষভান্ডারের আমিনগঞ্জ, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকেল থেকে তিস্তার পানি ব্যারেজ পয়েন্টে বাড়তে থাকে। রাত ৯ টার দিকে উজানের ঢলে পানি বিপদসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। যা ক্রমে বাড়তে বাড়তে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টায় বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষায় সবগুলো ব্যারাজের সব গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। আমরা যে কোনে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি।