কত রূপে বারে বারে
দেখিলাম তারে!
এক রূপে দেখলে পরে
আর পাই না তারে খোঁজে।
প্রভাত লগ্নে হররোজ
দেখি তার নতুন রূপ।
ঘনায় এলে মধ্যবেলা
রবির আলোয় দেখি মেঘমেলা।
মেঘদল ছুটে বেড়ায়
বিস্তর মরু দিগন্ত হেলায়।
দিনের শেষে গোধূলি বেলায়
রক্তিম কিরণ গায়ে লাগে
সাদা মেঘের ভেলায়।
মেঘের আড়ালে পূর্ণিমার রাত
নিশিপানে দেখি আকাশের ভিন্ন ছাপ।
গ্রীষ্মের দাবদাহে তৃষ্ণার্থ পথিক
শ্বেত মেঘে চোখ ভুলায় খনিক! খনিক!
প্রখর তাপে মুসাফির বসে
বট বৃক্ষের শিকড়ে।
কভু হঠাৎ কাল বৈশেখি
ঘ্রুম ঘ্রুম বজ্রপাতে বিজলী।
শ্রাবণ ধারার সকাল দুপুর সন্ধ্যা নিশিথীনে
গ্রহ নক্ষত্র হারায় কালো মেঘের কবলে।
অঝোর সহস্রধারা পানিতে স্নান
প্রকৃতি যৌবনে ফিরে পায় মান।
শরতের নীল রং সাদা মেঘে মিলে
দিগন্ত উন্মোচিত হয় নতুন রূপে।
শিউলি মালা প্রথম কিশোরীর মনে
পরে থাকা ফুল কুড়ায় আনে
শিশির বিন্দু জলে!
কৃত্তিকা আর্দ্রা নক্ষত্র যোগে
হেমন্তকাল আসে নবান্নের সুখ নিয়ে।
হিম হিম শীতল পরশ অনুভূতির সুখ দুঃখ
অশোক,কুরচি,ক্যামেলিয়া শীতের কিছু ফুল।
বসন্ত বাতাসে উড়ে পল্লিবালার কিশোরী চুল
যৌবনে পদার্পণ প্রকৃতি অপরূপ।
আমি প্রথম প্রেমের কল্লোলিত জলে
ডুবেছি তার রূপের ঝলকানিতে।
আমি বারে বারে রূপের মোহে
হারিয়ে যাই বহুরূপী সৃষ্টিতে।