ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষ এবং তৃতীয় বর্ষের চলমান পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তের পর আন্দোলন স্থগিত করেছে শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর নিউমার্কেট নীলক্ষেত মোড় অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, দাবি মেনে নেয়ার কারণে আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে বুধবার দুপরে শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সাথে ভার্চুয়াল আলোচনায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আলোচনা সভা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, সাত কলেজের চলমান পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজকে যে পরীক্ষাটি হওয়ার কথা ছিল, সেটি কবে নেয়া হবে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বৈঠক শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ৭টি সরকারি কলেজের চলমান ও ঘোষিত পরীক্ষাসমূহ শর্তসাপেক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। শর্তসমূহ হলো, পরীক্ষা চলাকালে হোস্টেল খোলা হবে না এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে।’
চলমান পরীক্ষাসমূহ নেয়ার দাবিতে বুধবার সকালে নীলক্ষেত ও নিউমার্কেট সড়কে অবস্থান নেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা সেশনজট থেকে মুক্তির দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে আজিমপুর, নিউমার্কেট ও নীলক্ষেতসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গন্তব্যমুখী মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে।
একইদিন সকালে সদরঘাটে কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা কলেজের সামনে অবস্থান নেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ৭টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়ার কথা জানান।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই অধিভুক্ত ৭ কলেজের পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
ওইদিন বিকেল ৩টায় এ বিষয়ে ৭ কলেজের অধ্যক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ৩ জন ডিন বৈঠক করেন। ৭ কলেজের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এস মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে ওই বৈঠক থেকেই পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।
এ সিদ্ধান্তের ফলে ২০১৯ সালের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ, ২০১৯ সালের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের লিখিত পরীক্ষা এবং ২০১৭ সালের মাস্টার্স শেষ পর্বের মৌখিক পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। এরপরই এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা।