নরসিংদী পৌর শহরের কামারগাও এলাকায় গত বছর দুই বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমুখী চাষ করা হয়। এবার ১৫ বিঘা জমি লিজ নিয়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ করা হয়েছে। শুরুতে গাছে ফুল ধরলে তা দেখতে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা। এ বাগানটি স্থানীয়দের সহযোগিতায় আবাদ করেন অবসরপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিয়া মো. মাজহারুল হক।
বাগানটি ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের ছবি আর সেলফি তোলার একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে এ বাগান। সকাল থেকে সেখানে ভিড় জমায় অনেক দর্শনার্থী। বাগানটির ভেতরে প্রবেশ করতে হলে ২০ টাকা দিয়ে টিকেটও কিনতে হয়।
মিয়া মো. মাজহারুল হক জানান, তার গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলা জিনারদী ইউনিয়নে। গত ছয় মাস আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। নরসিংদী পৌর এলাকায় গত বছর সরিষা শেষে সূর্যমুখী ফুলের চাষে লাভবান হয়েছেন। তিনি অনাবাদি জমিগুলো খুঁজে বের করে কৃষিকাজে ব্যবহারের যোগ্য করে তুলছেন বলে জানান।
তিনি জানান, সূর্যমুখী ফুলের বীজের মাধ্যমে যে পরিশোধিত তেল পাওয়া যায় তা পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। ফুল ছাড়া পাতা দিয়ে জৈবসার এবং গাছ দিয়ে লাকড়ি হয়। তবে মাড়াই যন্ত্রের অভাবে বীজ বিক্রি করে দিতে হয়।
দর্শনার্থীরা জানায়, বাসা বাড়িতে বিভিন্ন ফুলের বাগান করা গেলেও সূর্যমুখী ফুলের বাগান করাটা খুব একটা হয়ে উঠে না। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে সূর্যমুখী ফুলের বাগানে ঘুরে বেড়াতে ভালো লাগে। সূর্যমুখীর হাসি দেখে মনটা ভরে যায়।
একদিকে কৃষি জমির যথাযথ ব্যবহার, অপরদিকে প্রকৃতিপ্রেমী সৌন্দর্য পিয়াসুদের বিনোদনের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে এই বাগান। তবে কৃষকদের যথাযথ সহায়তা আর বাজারজাত সহজ করা গেলে আরো ব্যাপকভাবে সূর্যমুখী আবাদ করা সম্ভব।