নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে চোর সন্দেহে এক যুবককে উৎসুক জনতার সামনে মধ্যযুগীয় নির্যাতন করার হয়েছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে কাঠাঁলিয়া ইউনিয়নের ডৌকাদী গ্রামে ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে শনিবার রাতে নরসিংদী প্রতিদিনের নজরে আসে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, নির্যাতনের স্বীকার সুমন (২৫) একই উপজেলার কাঠালিয়া আমতলা গ্রামের হাবিবুল্লার ছেলে। সে বর্তমানে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান,ডৌকাদী দীঘিরপাড় গ্রামে ব্যাটারি চালিত অটো চুরির প্রস্তুতি নিচ্ছে সুমন। এমন সন্দেহ হলে তাকে ওই গ্রামের লোকজন গণধোলাই দেয়। পরে সুমনকে গুরুতর আহত অবস্থায় লোকালয়ের রাস্তার পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায় ওই এলাকার লোকজন।
শনিবার রাত ১১টার পর কিছু সুস্থ হলে এ বিষয়ে হাসপাতালে সুমনের সাথে কথা বলে জানাযায়,ক্রিকেট খেলা নিয়ে পুরানো একটা বিরোধ ছিল ওই এলাকার কয়েকজন যু্বকের সাথে। শনিবার দুপুরে ওই এলাকায় একটি অটো গাড়িতে বসে মুঠোফোনে কথা বলছিল সুমন। হঠাৎ অটোর পিকাপে টান লেগে রাস্তার ঢালে চলে যায়। এতে জরিমানার ভয়ে দৌড়ে পালানোর সময় সুমনকে কয়েকজন যুবক পাকড়াও করে। পরে উৎসুখ জনতার সামনে নাম না জানা চেহারা পরিচিত লোকজন একটি গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে সুমনকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্ঠা করে।
সুমনের বাবা হাবিবুল্লাহ জানান, এ ঘটনা শুনে কাঠাঁলিয়া গ্রামের কিছু লোক এগিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে তাকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন,ঘটনাটির বিষয়ে পুলিশকে জানানোর জন্য স্থানীয় লোজনদের বলা হয়ে ছিল। কিন্ত তারা পুলিশকে না জানিয়ে সুমনকে পিটিয়ে আহত করে।
এদিকে এ ঘটনার একটি ভিডিও ইমু ও ফেসবুকে ভাইরাল হয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অপরাধে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবী জানান কাঠাঁলিয়া একতা মানবসেবা সংগঠন।
মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক জানান,ঘটনাটি রাতে শুনেছি ও ভিডিও দেখেছি। এবিষয়ে সুমনের পক্ষে কেউ থানায় অভিযোগ করতে আসেনি।
–