করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ জেলার তালিকায় রয়েছে নরসিংদী। এবার করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় এ জেলায় আইসিইউ ও পিসিআর ল্যাব না থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছেন করোনাক্রান্ত রোগীরা।
করোনা মহামারির শুরুতেই করোনা রোগীদের ভোগান্তি কমাতে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আইসিইউ ও পিসিআর ল্যাব সংযোজনের দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা। তবে মাসের পর মাস গেলেও এ পর্যন্ত তা পূরণ হয়নি। এ জেলায় করোনা রোগীদের জন্য আলাদা কোনো হাসপাতাল তৈরি করা হয়নি।
সিভিল সার্জন নুরুল ইসলাম বলেন,‘গত বছর থেকে করোনা মোকাবিলায় নরসিংদীর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালটি কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য ৮০টি বেড রয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালে পাঁচটি করে ও সদর হাসপাতালে পাঁচটি বেডসহ মোট ৩০ বেড রয়েছে।’
তিনি বলেন, ’চলমান সপ্তাহে দুটি ভেন্টিলেটর, ১০টি আইসিইউ ও একটি পিসিআর ল্যাবের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন পাঠানো হয়েছে।’ এ ছাড়া অতিরিক্ত আরও ২০ বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে জেলার সর্বশেষ (১৭ এপ্রিল) শনিবার বিকেলে পাওয়া তথ্যে নতুন করে আরও ৫৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন ৫৩ জনসহ জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল তিন হাজার ৭৪৭ জনে।
সিভিল সার্জন আরও বলেন, এক দিনে ১৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীর মহাখালীর ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে (আইপিএইচ) পাঠানো হয়। এতে ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৭ জন, পলাশে ১২ জন ও মনোহরদীতে ৪ জন। এ ছাড়া র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় রায়পুরায় দুজনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
এ পর্যন্ত শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় দুই হাজার ৩৮৫ জন, শিবপুরে ৩৩১ জন, পলাশে ৪৪৯ জন, মনোহরদীতে ২১৩ জন, বেলাবতে ১৬৭ জন ও রায়পুরায় ২০২ জন।
নরসিংদী জেলা থেকে এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৮১৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতাল আইসোলেশনে আছেন ৪১ জন ও হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৮৮ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫৯ জন।
#
খন্দকার শাহিন | নরসিংদী প্রতিদিন-