লাইভে আকুতি জানানোর পর যশোর পুলিশ সুপারের মানবিকতায় নগদ অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী পেল চায়ের দোকানদার রবিউল সরদার। গতকাল (১৭ এপ্রিল) ফেসবুক লাইভে এসে খাদ্যের জন্য করুন আকুতি জানান রবিউল, তিনি লাইভে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, খাবার দেন, নইলে গুলি করে মেরে ফেলেন! তার এই আবেগঘন লাইভটি জেলা পুলিশের মিডিয়া মনিটরিং সেলের দৃষ্টিতে আসে এবং তার পরিচয় নিশ্চিত করে জানতে পারেন যে তার বাসা কোতয়ালী থানাধীন ঘোপ নোয়াপাড়া এলাকায়। সে একটি ভাড়া করা বাসায় থাকে এবং পেশায় একজন ভ্রাম্যমাণ চায়ের দোকানদার। ভ্যানে করে বিভিন্ন স্থানে চা-বিস্কুট বিক্রয় করে চলত তার সংসার কিন্তু করোনা ভাইরাসের জন্য সৃষ্ট লকডাউনে তার ব্যবসা এখন বন্ধ তাই খাদ্য অভাবে আছে তার পুরো পরিবারটি।
বিষয়টি যশোরের পুলিশ সুপার বাবু প্রলয় কুমার জোয়াদার, বিপিএম(বার), পিপিএম মহোদয় কে জানানো হয়।
পুলিশ সুপার পুরো বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ‘‘ক” সার্কেল, যশোর কে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ নির্দের পর রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলাল হোসাইন, যশোজ জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) রুপণ কুমার সরকার পিপিএম সহ একটি টিম রবিউলের বাড়িতে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হন।
পুলিশ সুপারের পাঠানো খাদ্য ও নগদ অর্থ পেয়ে রবিউল সরদার অনেক খুশি। সে কিছুটা আবেঘাপ্লুত হয়ে পরেন এবং বলেন সত্যিই আমি কখনো ভাবিনি আমার মত একজন দিনমজুরের জন্য পুলিশ সুপার মহোদয় খাদ্য পাঠাবেন।