বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাগুলো এখন থেকে অনলাইনে নেয়া যাবে বলে সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা জুম প্লাটফর্মে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে।
ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে পরীক্ষা নেবে। তবে কীভাবে নেবে, সেটা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনা করে ঠিক করবে। এ বিষয়ে তাঁরা একটি গাইড লাইন তৈরি করেছেন। সেটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় সেটা পরিপত্র আকারে জারি করলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো হবে।
তবে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষার্থী যদি অনলাইনে পরীক্ষা দিতে না চায় সেক্ষেত্রে তাদের চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। কোনো ইউনিভার্সিটি যদি মনে করে সে অনলাইন না নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অফলাইন পরীক্ষা নেবে, সেটিও তারা করতে পারবে। অর্থাৎ কাউকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
করোনার কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়া সার্বিক শিক্ষা কার্যক্রমে গতি আনতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার যায় কি না তার জন্য একটি কমিটি করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার কমিটি সভা হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান বলেন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড মেনে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা নেয়ার আগে তাদের সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনলাইনে পরীক্ষার পাশাপাশি ভাইভাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরীক্ষার স্বচ্ছতার জন্য সব ধরনের কৌশল নিতে বিশ্বিবিদ্যালয়গুলোকে বলা হয়েছে। সেজন্য একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সভায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শর্ত সাপেক্ষে অনলাইনে একাডেমিক পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাস টেস্ট নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ঈদের পর থেকেই যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে অনলাইনে পরীক্ষা নিতে পারবে।
দেশে বর্তমানে ৪৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ থাকায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েক লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। সেশনজটে পড়ে শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনেও পিছিয়ে পড়ছেন। এর আগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিল ইউজিসি। যদিও সেটি আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।