আগামীকাল ঈদুল আজাহা। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে করোনার ঝুঁকি সত্ত্বেও ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। তাই ঈদের ঠিক আগের দিন ট্রেন, মহাসড়ক, ফেরিঘাটসহ লঞ্চ টার্মিনালে আরো বেড়েছে ঘরমুখি মানুষের চাপ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে করোনা ঝুঁকি আর সব ভোগান্তি উপেক্ষা করেই গ্রামে ফিরছেন মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে টাঙ্গাইল বাইপাস সড়ক থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ২৫ কি.মি. গাড়ির দীর্ঘ সারি রয়েছে। এছাড়া গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে কালিয়াকৈর বাইপাস পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যানজট।
এদিকে, সকালে সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ১৮ জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে ১২০টি লঞ্চ। তবে, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে ৬টি লঞ্চের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিআইডব্লিটিএ।
হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠছেন যাত্রীরা। আর এ পরিস্থিতি দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে মহামারি চলছে।
নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে বাস টার্মিনালে। তবে, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে বাস কাউন্টারগুলোতে তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। পাশাপাশি আসনে যাত্রী না বসানোর নির্দেশনা থাকলেও অনেকক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না।
এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনেও দেখা গেছে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়। আন্তঃনগর ট্রেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার নিয়ম মানা হলেও লোকাল ট্রেনে ভোগান্তি ও বিশৃঙ্খলা চরমে। লোকাল ট্রেনে করোনা বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতে বাড়তি নজরদারির দাবি কর্তৃপক্ষের।
দূরপাল্লার গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করায় ঈদের পর করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছানোর আশঙ্কা জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।