লক্ষন বর্মন, নরসিংদী : নরসিংদীর একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র ড্রিম হলিডে পার্কে এখন উপচে পড়া ভিড়। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে চৈতাব এলাকায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে উঠেছে এ পার্কটি। মনোরম পরিবেশে নির্মিত এই বিনোদন কেন্দ্রটি বিগত কয়েক বছর ধরেই বিনোদন পিপাসুদের নজর কেড়েছে । ঈদকে ঘিরে বিনোদন প্রেমী পর্যটক ও দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করতে ড্রিম হলিডে পার্কটিকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। এবারের ঈদে নতুন সংযোজন করা হয়েছে যায়ান্ট হোল (চরকগাছ)। আরো আছে ড্রিম সাফারি পার্কে প্রায় ২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য মিনি সমুদ্র। সমুদ্র ঘুরতে গিয়ে দেখতে পারবে বানর, হনুমান, হরিণ, কুমির, হাতি ও সিংহ। এছাড়া রয়েছে ক্যাবল কার, রোলার কোস্টার,ডেমুট্রেন। সঙ্গে রয়েছে সমুদ্রের ঢেউ ও ভূতের রাজ্য স্পট। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ড্রিম হলিডে পার্কে পাওয়া যাবে হিমালয় পাহাড়ের সাদৃশ্য। নানা রাইডের পাশাপাশি ভূতের বাড়ীসহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ২০টি জ্যান্ত ভূত ! এগুলো কখনও ভয়, কখনও আনন্দে মাতিয়ে রাখে শিশু-কিশোরদের। রয়েছে ওয়েবপুল। যেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে কান পাতলেই শোনা যাবে সমুদ্রের গর্জন। প্রকৃতির এক অপরূপ ছোঁয়ায় মনমাতানো পাহাড়ি ঝর্ণায় আপনি হারিয়ে যেতে পারেন। নতুন এই সংযোজন পার্কের এ বছরের ঈদ বিনোদনকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
প্রায় দুই শত বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত এই বিনোদন পার্কে ছোটদের জন্য রয়েছে আর্কষনীয় রাইড। এছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক সুইমিংপুল, এয়ার বাইসাইকেল, বাম্পারকার, সোয়ান র্বোড, ওয়াটার র্বোড, অত্যাধুনিক রোলার কোস্টার, ডেমুট্রেন , সুইং চেয়ার, স্পিডবোট, বাচ্চাদের অতিপ্রিয় নটিক্যাসেল, জাম্পিং হর্স, বসানো হয়েছে লাফার কিং সহ বিভিন্ন রাইড। পাশাপাশি তৈরি করা হয়েছে আইসপাহাড়। আনন্দ উপভোগ করতে পার্কটিকে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন আঙিকে প্রস্তুত করা হয়েছে। পার্কের ভেতরে অত্যাধুনিক মোজাইক পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পায়ে হাঁটার অত্যাধুনিক রাস্তাা। ঈদকে ঘিরে পার্কে নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
দর্শনাথীদের খাবারের চাহিদা মেটাতে এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, বাংলা খাবারসহ চটপটি ফুচকা ও আইসক্রিম পার্লার। পাশাপাশি রয়েছে বিখ্যাত জামদানি হাউস। পাবেন মেয়েদের থ্রি-পিস, বেড শিট ও অন্যান্য জিনিসপত্র।
দর্শনার্থীদের বসার জন্য জায়গায় জায়গায় আধুনিকভাবে তৈরি করা হয়েছে পর্যাপ্ত খুপড়ি ঘর। বিনোদনের জন্য রয়েছে সঙ্গীতের নানা ধরনের উপকরণ। যে কেউ পুরো পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে সময় কাটাতে পারেন এখানে। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত প্রতিদিন খোলা থাকে এটি। পার্কে প্রবেশ করতে গুণতে হবে জন প্রতি ২০০ টাকা। ড্রিম হলিডে পার্কে পিকনিক আয়োজন করতে চাইলে রয়েছে মধুরিমা ও মায়াবী সহ প্রায় দশটি পিকনিক স্পট। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ২ রুমের একটি বাংলোর ব্যবস্থা থাকছে পিকনিকের জন্য। এর পাশাপাশি রয়েছে দোতলা বাংলোর ব্যবস্থাও। পরিবার নিয়ে থাকার জন্য পার্কের নিজস্ব চারটি কটেজ রয়েছে। মূল্য পরিশোধ করে বিলাসবহুল কটেজে রাত্রিযাপন করা যায়।
পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিল্পপতি বাবু প্রবীর কুমার সাহা বলেন, বিদেশী বিনোদনমূলক কালচার, ডিজাইন ও পরিকল্পনা থেকেই এ পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। এবারের ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন পরিকল্পনা ও ডিজাইন সংগ্রহ করে সব বয়সীদের জন্য জন্য নতুন নতুন রাইড ও খেলনা সামগ্রী সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে নরসিংদীর ইতিহাস-ঐতিহ্যের ধারক আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন উয়ারী বটেশ্বর দেখতে যেতে পারেন শিবপুর,বেলাব,উয়ারী,বটেশ্বর,জানখারটেক.আরো যেতে পারেন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পাশে শিবপুর কুন্দারপাড়ায় অবস্থিত সোনামুড়িটেক সহ বাংলায় প্রথম পবিত্র কোরআন অনুবাদকারী ভাই গিরিশ চন্দ্র সেনের বাড়ীটিও পাঁচদোনায় অবস্থিত। ঈদের ছুটিতে আপনিও ঘুরে যেতে পারেন চমৎকার এই বিনোদন কেন্দ্রে গুলোতে।