মনোহরদী প্রতিদিন: নরসিংদীর মনোহরদীতে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে চাপাতির কোপে মারাত্মক আহত হয়েছেন কলেজ ছাত্রী ও তার মা। সোমবার বিকেলে উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের পাইকান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, পাইকান গ্রামের ইউপি সদস্য আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী শাহনাজ বেগম ও তাঁর মেয়ে নরসিংদী সরকারী কলেজের মাষ্টার্সের ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস আইরিন। আহতদেরকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শাহনাজ বেগম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৩ বছর পূর্বে একই গ্রামের আব্দুস সাত্তার বিপদের কথা বলে আমার কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা ধার নেয়। এক মাস পর টাকা ফেরত দেয়ার কথা থাকলেও দেই- দিচ্ছি বলে সময়ক্ষেপন করতে থাকে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ-দরবার হলেও টাকা ফেরত দেয়নি আব্দুস সাত্তার। সোমবার বিকেলে শাহনাজ পুনরায় সাত্তারের বাড়ীতে গিয়ে টাকা চাইলে দুজনের মাঝে বাকবিতন্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাত্তার, তার ছোট ভাই আক্তার হোসেন, তাদের বাবা মোস্তফা, চাচাতো ভাই সবুজ তাদের ঘরে থাকা চাপাতি এনে শাহনাজের মাথায় আঘাত করে। মায়ের মাথায় আঘাতের খবর পেয়ে কলেজ ছাত্রী মেয়ে আইরিন সুলতানা তার মাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।
পরে প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে তাদেরকে বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে মনোহরদী থানার ওসি গাজী রুহুল ঈমাম বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে কেউ আমাকে জানায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।