নরসিংদী প্রতিদিন : ভেজাল ও নকল রাসায়নিক সার ও কীটনাশক তৈরির সন্দেহে নরসিংদীর পলাশে একটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। রোববার সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ভেজাল কীটনাশক ও সার তৈরীর অপরাধে নগদ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন এবং কারখানা সিলগালা করা হয়। এসময় পলাশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমীরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কার্ষালয় সূএে জানা যায়, পলাশ উপজেলার সেকান্দরদী ঝালকাটা বাজার সংলগ্ন স্থানে মেসার্স এম.কে এগ্রো প্রোডাক্টস নামের ওই কারখানাটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ দস্তা সার, এস.ও.পি সার, বোরাক্স, বোরুন, জিংক মনো, ম্যাগ, ফুরান, কভার ভিট, সালফার, জিংকসহ ১৭ ধরণের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক তৈরি করে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করা হচ্ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে ভেজাল ও নকল পণ্য তৈরি করার সন্দেহে কারখানাটি অভিযান চালানো হয়। এসময় কারখানাটিতে পণ্য তৈরির সঠিক পদ্ধতি লক্ষ্য করা যায়নি এবং কারখানার মালিক কাজলকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। পরে কারখানাটিতে তৈরিকৃত ১৭ ধরণের কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের মধ্যে ৯ ধরণের পণ্য জব্দ করা হয়। গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, কারখানাটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক তৈরি ও বাজারজাত করা হচ্ছিল। আমি কারখানাটিকে ট্রেড লাইসেন্সও প্রদান করিনি। পলাশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি জানান, প্রতিষ্ঠানটির মালিক একজন সার আমদানি কারক ছিলেন । সে সার আমদানি না করে নিজেই ভেজাল সার ও কিটনাশক তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল বহুদিন যাবত। গত একবছর হল তার সার আমদানির লাইসেন্সের মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। জব্দকৃত সার ও কিটনাশক গুলো পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য ঢাকার মৃত্তিকা সম্পদ ইনস্টিটিউটে পাঠানো হবে।