খন্দকার শাহিন,নরসিংদী প্রতিদিন: চোখে হাজারো স্বপ্ন নিয়ে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে ২০১৪ সালে মরিশাসে পাড়ি জমিয়েছিল নরসিংদীর সদর উপজেলার চর্নগরদী এলাকার টগবগে যুবক নাঈম খন্দকার (২৫) । কিন্তু বিধি বাম! চার বছরের মাথায় নিজেরই বন্ধুর হাতে খুন হয়ে তিনি চিরতরে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নাঈম পূর্ব আফ্রিকার দ্বীপ রাষ্ট্র মরিশাসের এক স্পিনিং মিলে কাজ করতো। গত ১৬ ফেব্রুয়ারী কর্মস্থল থেকে ফিরে বাসায় মোবাইল ফোন ও ওয়ালেট রেখে নিখোঁজ হয় নাঈম। পরদিন সেখানে অবস্থানরত তার নিকটাত্মীয়রা তার খোঁজ করতে বাসায় আসলে নাঈমের রুমমেট ও তার সহকর্মী বন্ধু মামুন এব্যপারে কিছু জানেনা বলে তাদেরকে বিভ্রান্তিকর গল্প শোনায়। তারা অনেক খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান না অবশেষে থানায় ডায়েরী করেন। নিখোঁজের ৪ দিন পর স্থানীয় পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে মামুন (২৬) কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঘটনার ৫দিন পর সেখানকার এক জঙ্গল থেকে নাঈমের অর্ধগলিত ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
লাল ট্রি শার্ট গায়ে ঘাতক সুমন ও পাশে নিহত নাঈম খন্দকার
ঘাতক মামুনের বাড়ি নরসিংদীর পলাশ উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামে। তার বাবার নাম তোফাজ্জল মিয়া।
প্রবাসে খুন হওয়া নাঈমের ব্যপারে মাধবদী সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিনের সাংবাদিক মো. আল-আমিন সরকার বলেন, নাঈম আমার বন্ধুর ভাগ্নে হয়। সে অত্যন্ত শান্ত ও ভদ্র প্রকৃতির একজন ছেলে ছিল। ২০১৪ সনে মরিশাসে চলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রঙ্গনে কাজ করেছে। অকস্মাৎ এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমি তার হত্যাকারীদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হয় এ ব্যপারে প্রশাসনের আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।