নরসিংদী প্রতিদিন,বৃহস্পতিবার, ০১ মার্চ ২০১৮:
সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) কর্তৃপক্ষ তাদের শ্রমবাজার বাংলাদেশীদের জন্য ধাপে ধাপে খুলে দেবে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে এক চিঠিতে এ আশ্বাস দিয়েছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহিরয়ার আলম ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিরাপদ সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ অভিবাসন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ওমানে অভিবাসীদের সংকট সমাধান হয়েছে। ‘ফ্রি ভিসা’ বলে কিছু না থাকলেও দালালচক্র মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সংকট সৃষ্টি করছে। তবে আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি দিয়ে বাংলাদেশকে জানিয়েছেন যে তাঁরা ধাপে ধাপে বাংলাদেশ থেকে কিছু নারী ও পুরুষ গৃহকর্মী নেবেন। কিছু চিকিৎসক ও প্রকৌশলীও নেবেন। আর যারা ইতিমধ্যে সেখানে আছে, তারা কাজের অনুমতিপত্র বা ইকামা পরিবর্তন করতে পারবে।
ঢাকার অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের এক কোটি অভিবাসী রয়েছে। তারা তাদের কষ্টার্জিত উপার্জন বাংলাদেশে পাঠিয়ে এ দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে চলেছে।
তিনি বলেন, অভিবাসীদের স্বার্থ সংরক্ষণে সরকার কাজ করছে। অভিবাসীদের পক্ষে নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জাতিসংঘে সোচ্চার ভূমিকা রাখছে। পার্লামেন্টারিয়ানস ককাস অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ককাস সভাপতি ইসরাফিল আলম।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব অভিবাসীর জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ব গঠন এখন সময়ের দাবি। সুষ্ঠু অভিবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে যে শুধু উৎস দেশই লাভবান হয় তা নয়, বরং তা গন্তব্য দেশগুলোর সামাজিক ও অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। এ বিষয়ে বিশ্বে আজ সুস্পষ্ট ধারণাগত ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিশ্বব্যাপী সুষ্ঠু, নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের অব্যাহত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই সফল হব। ’
এদিকে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনায় মালয়েশীয় প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ‘জিটুজি প্লাস’ ব্যবস্থার আওতায় ছাড়পত্র পাওয়া এক লাখ ২২ হাজার বাংলাদেশী আবেদনকারীর মধ্যে ৯৮ হাজার ৮০০ জন ইতিমধ্যে মালয়েশিয়ায় পৌঁছেছে। দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব কমিয়ে কম খরচে বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে ‘জিটুজি প্লাস’ কাঠামো ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে বৈঠকে উভয় পক্ষ মতপ্রকাশ করে।