নরসিংদী প্রতিদিন ডেস্ক, সোমবার, ০৫ মার্চ ২০১৮:
দেশের অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের আট হাজার ফ্ল্যাট দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় তৈরি হচ্ছে বহুতল আবাসিক ভবন। এতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা হবে। ফলে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রতি জেলা/উপজেলায় অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে দুই হাজার ২৭৩ কোটি ২১ লাখ টাকা। ইতিমধ্যেই প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের কাজ করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, দুই ইউনিট বিশিষ্ট ২৬৪টি এবং চার ইউনিট বিশিষ্ট ২৬৮টি অর্থাৎ মোট ৫৩২টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ইউনিট বা ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ৯৮২ বর্গফুট। এতে ৩টি বেড রুম, ১টি ড্রইং কাম ডাইনিং রুম, ২টি বাথরুমসহ বারান্দা। তবে যেসব জেলা বা উপজেলায় তিন বা ততোধিক ভবনের প্রয়োজন হবে সেখানে আবাসন কমপ্লেক্স নির্মাণ করে অন্যান্য সুবিধাদি যেমন- অভ্যন্তরীণ সড়ক, লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করা হবে। মূল খাস জমির উপর ভবনগুলো নির্মাণ করা হবে। তবে যেসব উপজেলায় খাস জমি পাওয়া না যায় সেখানে জমি অধিগ্রহণের প্রস্তাবও করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্রে যায়, এর আগে ২০১০ থেকে ২০১১ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভূমিহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পটি গ্রহণ করে। প্রকল্পটির আওতায় ভূমিহীন অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ জমিতে সরকারী অর্থায়নে দুই হাজার ৯৭১টি বাসগৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। তবে এ সংখ্যা চাহিদার তুলনায় কম।
গত ২০১৫ সালে ১৮ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে দেশব্যাপী অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা বিবেচনা করে জেলা উপজেলা পর্যায়ে বহুতল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে ১০ হাজার ফ্ল্যাট বরাদ্দের নির্দেশনা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
প্রকল্পটির আওতায় ১৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ৯শ ৮২ বর্গফুটের আট হাজার ফ্ল্যাট নির্মাণ করা হবে। একই জায়গায় ৩টি বা ততোধিক ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আবাসন কমপ্লেক্সে সুবিধাদি যেমন অভ্যন্তরীণ সড়ক, লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেয়া হবে।