মুহাম্মদ নুর-আলম
নরসিংদী প্রতিদিন,শনিবার,১০ মার্চ ২০১৮:
একটা ছেলে চৌদ্দ ঘাটের জল খাওয়ার পর যখন ভার্জিন বৌ খোঁজে,ব্যাপারটা সত্যিই বড্ড বেশি হাস্যকর ঠেকে আমার কাছে!
কারণ তার যেমন দশটা জানপাখি ছিল,প্রতিটা ছেলের ওমন দশটা করে থাকলে ভার্জিন মেয়ে এতদিনে
ডাইনোসরের মত ইতিহাস হয়ে যেত!
অর্থাৎ সব ছেলে লম্পট হয়না। তেমনিভাবে সব মেয়েও নষ্টা হয় না!
“একটা তালা যদি অনেকগুলো চাবি দিয়ে
খোলা যায়, তাহলে সেটা নষ্ট তালা।
আরএকটা চাবি দিয়ে যদি অনেকগুলো তালা
খোলা যায়,তাহলে সেটা নাকি মাস্টার কি! ”
শুধু এই একটামাত্র উদাহরণ থেকেই বোঝা
যায়, আমাদের সমাজ কিভাবে ছেলেদেরকে পরোক্ষভাবে ব্যভিচারের ইন্ধন যোগায়।
আর এরই ফলাফল হিসেবে আমরা ধর্ষণের মত ভয়াবহ
সামাজিক সমস্যার জালে এমনভাবে আটকে গেছি, যেখান থেকে না নিজেরা বের হতে পারছি, না প্রশাসন
আমাদের জন্য সন্তোষজনক কিছু করছে!
আমি বলছিনা যে মেয়েদেরকেও নোংরামি করার বৈধতা প্রদান করা হোক।
আমি বলতে চাচ্ছি, নষ্ট তালার পাশাপাশি যদি মাস্টার কি না হয়ে “নষ্ট চাবির” প্রচলন সমাজে থাকতো, তাহলে আর মাস্টার কি রা একাধিক তালা খুলে নিজেদের কাপুরুষত্ব, অথচ প্রচলিত সমাজের বীরত্ব
জাহির করে বেড়াত না!
ভার্জিন মেয়ের পাশাপাশি ভার্জিন
ছেলে খোঁজাও শুরু হোক! লম্পটকে নষ্টা
মেয়ের মতই তিরস্কৃত করা হোক!
একটা মেয়ে অসতী হলে, কিংবা দুশ্চরিত্রা
হলে যে পরিমাণ সামাজিক সমালোচনা
এবং ধিক্কারের স্বীকার হয়।
একটা ছেলেও যদি একইভাবে শাস্তি পেত,
তবে সমস্যা এত প্রকট হতো না। যাকে সে
ঠকাচ্ছে, সে অন্য কারো বৌ হবে।
অথচ একটা মেয়ে যতটা গভীরভাবে এটা
চিন্তা করে, একটা ছেলে কখনোই তা
করে না।
যে ছোট বেলা থেকেই পরোক্ষভাবে লম্পট হওয়ার ইন্ধন সমাজ থেকে পেয়ে আসছে, সে বড় হয়ে লম্পট হবে এটাই স্বাভাবিক! তাই সকল প্রকার অনৈতিক কার্যকলাপে ছেলে, মেয়েউভয়কেই শাস্তি দেয়া উচিত।
সব দোষ মেয়েদের ঘাড়ে না চাপিয়ে ছেলেদেরকেও সমানভাবে দোষী করা উচিত! কারণ মেয়েটা একা দোষ করে নি।
তাই নষ্ট চাবিকে “মাস্টার কি” না বলে ”
নষ্ট চাবি” বলাটাই সমীচীন, কারণ সে কোন তালারই হতে পারে নি।
এটা তার যোগ্যতা নয়, ব্যর্থতা! আর শৌচাগারের চাইতে নিকৃষ্ট আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিগুলো যদি বদলাতে পারি,তাহলে অন্তত প্রতিদিন খবরের পাতা উল্টোলেই একাধিক ধর্ষণের নিউজ দেখা লাগবে না!
নরসিংদী প্রতিদিন/নুর আলম/ফেজবুক ডেস্ক।