নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী প্রতিদিন, রবিবার, ১৮ মার্চ ২০১৮:
শিবপুর উপজেলার সদরের তাপস ঘোষের স্ত্রী পূজা রাণী পাল (২১) নামে এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গত ১৩ মার্চ পূজার বাবা বাদী হয়ে ৫ জন কে আসামী করে শিবপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা ধায়ের করেন। মামলা নং-১৭, তাং ১৩-০৩-১৮ইং। ঘাতক স্বামী তাপস ঘোষ কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
অভিযোগের বিবরণে জানা যায়, প্রায় দেড় বৎসর পূর্বে একই এলাকার অজিত ঘোষের ছেলে তাপস ঘোষের সঙ্গে পরিবারের অজান্তে প্রেম ভালবাসার মাধ্যমে বাবা মা’র অমতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় পূজা রাণী পাল। বিবাহের পর হইতে স্বামী তাপস ঘোষের বাড়ীতে বসবাস করছিল পূজা রাণী পাল। তাপসের পরিবারের অমতে বিয়ে করার পর থেকে পূজাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত পূজার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন । এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ মার্চ বিকেল অনুমান ৫.৩০ ঘটিাকার সময় পূজার শ্বশুর বাড়ীর লোকজন পূজাকে মারপিট করে কপালের মধ্যভাগে ও নাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত কওে । গুরুতর রক্তাক্ত কাটা জখম অবস্থায় প্রথমে শিবপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পূজাকে জরুরী ভিত্তিত্বে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু বিবাদীগণ পূজাকে ঢাকা না নিয়ে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়া যায়। সেখানে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার পূজাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শিবপুর মডেল থানা পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। পোষ্টমডাম শেষে ১৩ মার্চ দুপুরে পূজার পিত্রালয়ে লাশ দাফন করা হয়েছে।
আরও জানা যায় যে, তাপস ঘোষ র্দীঘ দিন প্রেম ভালবাসা পর দুই পরিবারের অমতে ভিন্ন সম্প্রদাযের পূজাকে বিয়ে করেন। বিয়েতে পূজার পরিবার থেকে কোন প্রকার নগদ অর্থ ও সোনা গহনা না দেওয়ায় পূজার শ্বাশুরী অর্থ লোভী রেখা রণী ঘোষ বিয়ের পর থেকে পূজাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে প্রায়ই নির্যাতন করত যা পূজা সইতে না পরে স্বামীর অজান্তে দুঃখ কষ্ট ভুলে থাকার জন্য ঘুমের বড়ি খেয়ে ঘুমাত। তাপস ¯’ানীয় বাজারের বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অজিত ঘোষ মিষ্টির দোকানে ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকতেন। সেই সুযোগে বাসায় একা পেয়ে তাকে নির্যাতন করত বলে জানা গেছে।
গুঞ্জন ওঠেছে ,পূজার মৃত্যু সংবাদ শুনার পরও তাপসের মার কাছে নেই কোন সমবেদনা তিনি হাস্যজ্জ্বল কন্ঠে বলেন, পূজা ৩/৪দিন যাবৎ ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করে নাই তাই একটু অসুস্থ হয়ে হাসপাতালএ আছেন।পরে থানা পুলিশের কথা শুনার পর থেকে পালাতক রয়েছে তিনি।