নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী প্রতিদিন,সোমবার,২ এপ্রিল ২০১৮: নরসিংদী পৌরসভা সংলগ্ন সিটি সেন্টারের ১৩ তলা ছাদে ২৬ মার্চ সোমবার দুপরে শুরু হয় সৈকতে উপর নির্মম নির্যাতন। রাত পর্যন্ত চলে সহকর্মীদের নির্মম পিটুনি । এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে সৈকত। পরে তার মরদেহ শিবপুরে উপজেলার পুড়ান্দিয়া এলাকায় ফেলে আসা হয়। ২ এপ্রিল সোমবার দুপুরে নরসিংদীর আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট এর খাসকামরায় এ নির্মম ঘটনার লোমহর্ষক বর্ননা দেয় সোবহান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক রুপন কুমার সরকার জানান, অভ্যন্তরীন কোন্দলের কারনে সৈকতের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু ও সহযোগীরা তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এর তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় সৈকত হত্যার দোষীদের চিহ্নিত করে সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় সোবহানকে। ১ এপ্রিল রোববার বিকেলে নরসিংদী সিটি সেন্টারের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে রেখে সকল তথ্য প্রমাণ তার সামনে উপস্থাপিত করলে সে ঘটনার সব খুলে বলে। এরপর সে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজী হয়।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত সোবহান (৩০) নরসিংদী শহরের পশিচম দত্তপাড়া এলাকার রহিম মুন্সির ছেলে। সোবহানসহ এই ঘটনায় আরও ৯ জন জড়িত রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের ধরতে শুরু থেকেই কাজ করছে ডিবি পুলিশ। উপযুক্ত তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে খুনের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। খুনের ঘটনার সাথে জড়িত সোবহান আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। এই মূহুর্তে মামলার তদন্তের স্বার্থে সোবহানের জবানবন্দী ও আমাদের কাছে থাকা তথ্য প্রকাশ করা যাচ্ছে না। মূলহোতাদের গ্রেফতার করতে পারলেই এ খুনের তথ্য উম্মোচন হবে।