নিজস্ব প্রতিবেদক*
নরসিংদী প্রতিদিন,মঙ্গলবার,৩ এপ্রিল ২০১৮: পলাশে এক স্কুল ছাত্রীর অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করে মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পলাশ থানা পুলিশ। পলাশ থানার সাব ইন্সপেক্টর বোরহান উদ্দীন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাশ উপজেলার মালিতা গ্রামের জনৈক স্কুলছাত্রী স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সুলতানপুর গ্রামের আসাদ মিয়ার ছেলে রণি মিয়া (২০) এবং তার বন্ধু একই এলাকার ফজর আলী ভূইয়ার ছেলে মো. ফয়সাল মিয়া (২০) প্রতিনিয়ত বিরক্ত করতো।
১ এপ্রিল সকালে স্কুলের যাওয়ার পর স্কুল ছাত্রীকে ফুসলিয়ে ফয়সালদের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে রণি তাকে ধর্ষণ করে আর রণির বন্ধু ফয়সাল এই অশ্লীল দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে। পরে এই অশ্লীল দৃশ্য মোবাইলের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এই বিষয়ে স্কুল ছাত্রীর মা বাদি হয়ে পর্ণোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী, ইচ্ছার বিরোদ্ধে ধর্ষণ ও তাতে সহায়তা এবং আপত্তিকর ছবি মোবাইলে মোবাইলে ছেড়ে দেয়ার অপরাধে পলাশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর পলাশ থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. বোরহান অভিযুক্ত রণি ও তার বন্ধু ফয়সালকে সোমবার বিকেলে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন। আটকের পর মঙ্গলবার ৫ দিনের পুলিশি রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এলাকাবাসী জানান, রণি ও জনৈক স্কুল ছাত্রী দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে আসছে। তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্কে গড়ে উঠে। আর এই দৃশ্য বন্ধু ফয়সাল মোবাইলে ধারণ করে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে দেয়। বিষয়টি এলাকার মধ্যে কৌতুহলের সৃস্টি হয়েছে। এমন ঘটনায় এলাকায় মেয়েদের নিয়ে বসবাস করা এবং স্কুলে লেখাপড়া করানো সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে বলে দাবী করেন এলাকাবাসী। তাই এই সকল ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শান্তি হওয়া প্রয়োজন, যাতে একটি দেখে সকলে সচেতন হয়ে যায়।