নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,মঙ্গলবার,৩ এপ্রিল ২০১৮: গাজীপুরের শ্রীপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে বখাটেদের ছুরির আঘাতে এক ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ছাত্রীকে চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানা একটি মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা।
আহত মাদ্রসা ছাত্রী লিমা আক্তার (১৪) উপজেলার প্রহলাদপুর ইউনিয়নের রাখালিয়া গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে। সে মরিচারচালা দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
অভিযুক্ত একই ইউনিয়নের মরিচারচালা গ্রামের বাছির উদ্দিনের ছেলে হৃদয় (২০), ইয়াছিনের ছেলে রুবেল (২৫), হেলাল উদ্দিনের ছেলে নাজমুল (২৫) ও মৃত মোহাম্মদ
আলী ছেলে দেলোয়ার (৩৫)।
ছাত্রীর বাবা জামাল উদ্দিন জানায়, মাদ্রাসার পাশেই দেলোয়ায়ের দোকানে বসে এলাকার অভিযুক্ত হৃদয়, রুবেল ও নাজমুল যাওয়া আসার পথে মাদ্রাসায় ছাত্রীদের আজে বাজে কথা বলত। পরে লিমা বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি পরিবারকে জানায়। পরে লিমার বাবা জামাল উদ্দিন বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালনা পরিষদকে অবগত করলে কমিটির লোকজন ওই দোকানে আড্ডা দেওয়া বন্ধ করা ও মেয়েদের আজে বাজে কথা এবং খারাপ আচরণ করতে নিষেধ করেন। পরে বখাটেরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার দুপুরে মাদ্রাসার ভেতর গিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী লিমা আক্তার, কেয়া আক্তার, মিলা আক্তার, আনিকা আক্তার, ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নাঈমা আক্তার, ১০ম শ্রেণির ছাত্র শাওনসহ অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন হুমকি দেয়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে মাদ্রাসা ছুটির পর লিমা আক্তারসহ অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা মাদ্রাসার পাশে দেলোয়ারের দোকানে সামনে আসা মাত্রই দেলোয়ারের দোকানে আগে থেকে রাখা দা, ছুরি, লাঠি ও লোহার রড নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা করে। হামলায় ছুরির আঘাতে লিমার বাম হাতে কব্জির মধ্যে লেগে হাতের রগ কেটে যায়। এসময় মাদ্রাসার ১০ শ্রেণির ছাত্র শাওন, মানিক, ৯ম শ্রেণির ছাত্র রানা তাদের বাধা দিলে তাদেরকেও মারধর করে আহত করে। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরে লিমাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাদের আটকে অভিযান চলছে।