নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিনিদি, শনিবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৮: ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের প্রধান সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’কে ঘিরে পাহাড়ি পল্লীগুলোর ঘরে ঘরে চলছে উৎসবের আমেজ। ইতোমধ্যে এলাকা ভিত্তিক নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবকে বরণ করে নেওয়ার যাবতীয় আয়োজন।
ক্যায়াং দর্শন ও সমবেত প্রার্থনার মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এ উৎসব। কেন্দ্রীয়ভাবে লামা ও আলীকদম উপজেলা সদর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টি সম্প্রদায়ের পাড়াগুলোর বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠন, ক্লাব, সমিতির উদ্যোগে সাংগ্রাইং পোয়ে জলকেলি উৎসব পৃথক ভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির নেতারা।
উৎসবের দিনগুলোতে আনন্দে হয়ে উঠবে পাহাড়ি ও বাঙালির সম্প্রীতির এক মিলনমেলা। ১৪ এপ্রিল শুরু হয়ে উৎসব শেষ হবে ১৭ এপ্রিল। শান্তিপূর্ণ বৈসাবি উৎসর পালনের মধ্য দিয়ে পাহাড়ি-বাঙ্গালির মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরো সু-দৃঢ় হোক এই প্রত্যাশা এখন সকলের।
লামা উপজেলা কেন্দ্রীয় ‘বৈসাবি’ উৎসব উদ্যাপন কমিটির সদস্য মংচাই মার্মা ও ফাইতং হেডম্যান পাড়ার উৎসব আয়োজক কমিটির আহবায়ক থোয়াইন সানু মার্মা বলেন, এবারও উৎসব মুখর পরিবেশে বৈসাবি উৎসব পালিত হবে। বৈসাবিকে সামনে রেখে ৪ দিনের বর্ণাঢ্য কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে ক্যয়াং দর্শন ও সমবেত প্রার্থনা, দড়ি টানাটানি, হাড়ি ভাঙ্গা, পিঠা তৈরি, ঐতিহ্যবাহী তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে উঠা, পানি খেলা, সাংস্কৃতিক ও পূণর্মিলনী অনুষ্ঠান।
একই কথা জানালেন আলীকদম উপজেলার উৎসব উদযাপন কমিটির নেতারা। এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বৈসাবি উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে পালনের জন্য বৌদ্ধ কেয়াংগুলোতে আনসার ভিডিপি ও পুলিশ মোতায়েনসহ বিশেষ নজর রাখা হবে।