নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী প্রতিদিন,বুধবার,১১ এপ্রিল ২০১৮: কোটা নিয়ে সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,কোন কোটা পদ্ধতি দরকার নাই,প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটাদের বিশেষ বিবেচনায় সরকার নিজে চাকরির ব্যবস্তা করবে। কোটা থাকলেই সংস্কার নামে আন্দোলন, তাই কোটা সংস্কারের দরকার নাই, তাই কোটা বাদ বলে মাননীয় স্পিকারের কাছে বক্তব্য পেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের একটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত জানান। সেই সাথে আন্দোলনকারী শিক্ষাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন "সংস্কারের কথা বলতে গেলে... আবার কয়েক দিন পরে এসে আরেক দল এসে বলবে আবার সংস্কার চাই। তো কোটা থাকলেই হল সংস্কার। আর না থাকলে সংস্কারের কোন ঝামেলাই নেই। কাজে কোটা পদ্ধতি থাকারই দরকার নেই। আর যদি দরকার হয়, তাহলে আমি বলে দিয়েছে আমাদের কেবিনেট সেক্রেটারি আছে, কমিটি আছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আছে তাদের নিয়ে তারা কাজ করবে"।
কোটা সংস্কারের দাবিগুলো কী ছিল?
এদিকে আন্দলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, তারা কোটা বাদ চায়নি,মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়ে তারা কোটা সংস্কার দাবি চেয়েছিল সরকারের কাছে।
কোটা সংস্কারে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। 'বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র সংরক্ষণ পরিষদ'এর ব্যানারে যে পাঁচটি বিষয়ে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলছে সেগুলো হল -
•কোটা-ব্যবস্থা ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা (আন্দোলনকারীরা বলছেন ৫৬% কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ। সেটিকে ১০% এ নামিয়ে অঅনতে হবে)
•কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া
•সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়স-সীমা- ( মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে চাকরীর বয়স-সীমা ৩২ কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০। সেখানে অভিন্ন বয়স-সীমার দাবি আন্দোলনরতদের।)
•কোটায় কোনও ধরনের বিশেষ পরীক্ষা নেয়া, যাবে না ( কিছু ক্ষেত্রে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাকরি আবেদনই করতে পারেন না কেবল কোটায় অন্তর্ভুক্তরা পারে)
•চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না।