ডেস্ক রিপোর্ট,নরসিংদী প্রতিদিন,বৃহস্পতিবার,১৩ এপ্রিল ২০১৮: স্পেশাল নিয়োগের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ কেন্দ্রীয় কমিটি। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক প্রশাসন গড়ার স্বার্থে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জাতির পিতা হত্যার পর থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালের পর মুক্তিযোদ্ধা কোটা আবারও ষড়যন্ত্রের বেড়াজালে আবদ্ধ হয়। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের পর ২৮ বছর কোটায় কোনো মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের চাকরি হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং পরবর্তী ২৮ বছর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিষ্পেষিত হয়েছে। এ ছাড়া ৩০% কোটা তাদের আত্মমর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জড়িত। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানের দিকে তাকিয়ে হলেও এ কোটা বহাল রাখা জরুরি।’
এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপকামনা করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সরকারি কোটা থাকলেও এ কোটায় যোগ্যতার দোহাই দিয়ে ইচ্ছাপূর্বক তাদের মৌখিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রিলিমিনারি, লিখিত, মনস্তাত্তি¡ক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার আর কি যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে? মৌখিক পরীক্ষা কখনো যোগ্যতা যাচাইয়ের একমাত্র মানদণ্ড হতে পারে না। বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান পাওয়া যায় না। অথচ লাখ লাখ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বেকার হয়ে আছে।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা চালু রাখার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
আজ দুপুর ১টায় ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে এ স্মারকপিলি দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঢাকা মহানগর ইউনিট কমান্ডার আমির হোসেন মোল্লা। এ সময় ১৫০ জনের মতো মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের বাইরে রাস্তার পাশে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা তাদের অনৈতিক বিধিবহির্ভ‚ত ও ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ঘোষিত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা যেন বহাল রাখা হয়। এ ছাড়া স্বাধীনতা বিরোধিতাকারীদের সন্তানদের কোটাবিরোধী সহিংস আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে হবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা আগের মতো চালু রাখার নির্দেশ প্রদান করে দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে হবে।
স্মারকলিপিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা হতাশাগ্রস্ত। কয়েক মাস ধরে রাজাকার, আলবদর, আলশামস, জামায়াত, শিবির ও বিএনপির সন্তানরা অহেতুক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করছেন। এমনকি হাইকোর্টে কোটা বন্ধের জন্য মামলা করেছেন। স্বৈরাচার বিএনপি, জামায়াত, শিবির, রাজাকার, আলবদর, আলশামস, ফ্রিডম পার্টির প্রেতাত্মা সন্তানরা কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ করতে না পারে।