ডাক্তার প্রতিদিন,শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৮: হাড় ক্ষয় বা অস্টিওপরোসিস নারীদের বেশি হয়। তবে কেন? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩০৪৪তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. ইউসুফ আলী। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থোপেডিক বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : হাড় ক্ষয়রোগ নারীর কেন বেশি হয়?
উত্তর : নারীদের হাড়ের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছু হরমোন সম্পর্কিত থাকে। এর মধ্যে ইস্ট্রোজেন রয়েছে, থাইরয়েড হরমোন রয়েছে, প্যারা থাইরয়েড হরমোন রয়েছে, এই সব হরমোনের বিশাল একটি ভূমিকা রয়েছে। নারীদের বয়স যখন ৪৫ হয়, মেনোপজ যখন হয়ে যায়, ইস্ট্রোজেন হরমোন বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। বা কেউ যদি ওভারি কেটে ফেলে, হিস্টোরেক্টোমি করে ফেলে তাহলে ওই হরমোন বন্ধ হয়ে যায়। হরমোনের নিঃসরণ না হওয়ার জন্য অস্টিওপরোসিস শুরু হয়ে যায়।
যখন মেনোপজ হয়, ঋতুস্রাব যখন বন্ধ হয়ে যায়, প্রথম ১০ বছরে ৩০ ভাগ হাড় ধ্বংস বা ক্ষয় হয়ে যায়। আমরা একটু যদি সচেতন হই, তাহলে এটি প্রতিরোধ করা যায়। যখনই কোনো নারীর ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাবে, তখন যদি আমরা এই অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধের জন্য কিছু ব্যায়াম করি, কিছু ওষুধ খাই, জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করি, তাহলে একে প্রতিরোধ করা সম্ভব। অস্টিওপরোসিসের ফলাফল কিন্তু খারাপ। প্রথম ব্যথা দিয়ে শুরু হয়, পরে ভেঙ্গে যায়।
দেখা যায় একটু আঘাতে হাতের কবজি ভেঙ্গে যায় বা বাথরুমে গিয়ে পা ভেঙে যাচ্ছে। তবে আশার আলো হলো এই ধরনের চিকিৎসাগুলো এখন অনেক অত্যাধুনিক। সারা পৃথিবীতে যত আধুনিক চিকিৎসা রয়েছে, সেগুলো আমাদের দেশে রয়েছে। আমরা সেগুলো রোগীদের দিতে পারছি। হাড় ভেঙ্গে গেলে অস্ত্রোপচার ছাড়া লোকাল এনেসথেসিয়া দিয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে ভাঙা হাড়ের ভেতর সিমেন্ট ঢুকিয়ে দেই। সিমেন্ট তো শক্ত হয়। হাড়ের সিমেন্ট একটু বিশেষ ধরনের থাকে।
বিশেষ হাড়ের সিমেন্ট কেবল ভাট্রিবার জন্য, হাড়ের ফ্র্যাকচারের জন্য। তরল অবস্থায় আমরা দেই, ভিতরে কেবল সলিড লোহার মতো হয়। হাড়কে এত শক্ত করে যে আশপাশের হাড় ভাঙবে, তবে ওই জায়গার কিছু হবে না। ওই জায়গায় আর ভাঙবে না