নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী প্রতিদিন,বৃহস্পতিবার,১৯ এপ্রিল ২০১৮:
নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্র খোরশেদ হত্যা মামলায় আরিফা সুলতানা এ্যামি নামে এক আসামীর ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে নরসিংদী জেলা ও দায়রা জজ বেগম ফাতেমা নজিব এ দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম.এন অলিউল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। দন্ডপ্রাপ্ত এ্যামি শহরের ঘোড়াদিয়া মহল্লার সৌদী আরব প্রবাসী গোলাম কিবরিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষিকা।
খুনের শিকার খোরশেদ আলম রায়পুরা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মৃত অহেদ আলীর ছেলে, নরসিংদী সরকারি কলেজ এর রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও একই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, একই কিন্ডারগার্টেন স্কুলের শিক্ষকতার সুবাধে কলেজ ছাত্র খোরশেদ আলমের সঙ্গে পরিচয় ঘটে সহকর্মী আরিফা সুলতানা এ্যামির। সম্পর্কের সুবাধে এ্যামির বাসায় নিয়মিত যাতায়াত শুরু হয় খোরশেদ আলমের। ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাতে সোমবার রাতে এ্যামির বাসায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে এ্যানির হাতে বটির কোপে মারা যায় খোরশেদ আলম। এসময় গুম করার জন্য খোরশেদের লাশ ৬ টুকরো করে বস্তাবন্দী করে খাটের নীচে লুকিয়ে রাখে এ্যামি। পরদিন মঙ্গলবার মরদেহের হাত পা ও মাথা পুরানপাড়া এলাকার হাড়িধোয়া নদীতে ফেলে দেয়া হয় এবং সন্ধ্যায় মাথা বিহীন বস্তাবন্দী লাশটি ঘোড়াদিয়া এলাকার হাড়িধোয়া নদীতে ফেলার সময় স্থানীয় জনতা এ্যানিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই বেদন মিয়া বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় আরিফা সুলতানা এ্যানিকে প্রধান আসামী ও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।