নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী প্রতিদিন,বৃহস্পতিবার,১৯ এপ্রিল ২০১৮: নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। তার কন্যা মানননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ দেশ গঠনের কাজ করছেন, তাঁর নেতৃত্বে প্রযুক্তিতে এগিয়েছে দেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ আর স্বপ্ন নয় বাস্তব। দেশকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সঠিকভাবে কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেইসাথে সব সরকারী কর্মচারীদের সততা ও নিষ্ঠার সাথে জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি বুধবার দুপুরে নরসিংদী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সভাকক্ষে পিইডিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত/বাস্তবায়িতব্য এর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে দ্বি-পাক্ষিক সভায় এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী জনগণের সেবক। সরকার ও জনগণের মাঝে সেতুবন্ধন নিশ্চিত করতে সকলকে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জনগণের কাছে সাংবিধানিক সেবা পৌঁছে দেয়া।
তিনি বলেন, গ্রামীণ জনগণের উন্নয়ন উপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করে সে অনুযায়ী উন্নয়ন তরান্বিত করা প্রয়োজন। সামাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী বিশেষ করে প্রতিবন্ধী ও নারীদের উন্নয়নে বর্তমান সরকার গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাদের জন্য হস্তশিল্প ও কুটির শিল্প কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের উৎপাদিত পন্য যাতে সঠিকভাবে বাজারজাত করা যায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা সম্ভব হয় সে বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ মেনে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
দ্বি-পাক্ষিক সভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী বশির আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকা সার্কেল এর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রবিন রায়হান আহমেদ, এলজিইডি নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রায়হান সিদ্দীক, নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মনজুর এলাহী ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুল হক।
সভায় নরসিংদী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সকল উপজেলার প্রকৌশলী, উপজেলার সকল কর্মচারী, গণমাধ্যমকর্মী, জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার আরাফাত নোমান ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।