নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী প্রতিদিন,শুক্রবার,২৭ এপ্রিল ২০১৮: সৌদি আরবে নির্যাতিত স্ত্রী শিল্পীকে ফিরিয়ে পেতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্বামী সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে দালাল মঞ্জিল ভূইয়ার বিরুদ্ধে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনারে মামলা করেছে।
জানাযায়,নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মোঃ সিরাজ মিয়ার স্ত্রীকে সৌদি আরবে ৪০ হাজার টাকা বেতনে মাদরাসায় চাকুরি দেয়ার নাম করে বিদেশে পাচার করেন স্থানীয় প্রতিবেশী নবীয়াবাদ গ্রামের দালাল মঞ্জিল ভ’ইয়া।
প্রতিবন্ধী সিরাজ মিয়ার আকুতি- আমার বউ শিল্পীকে আমার কাছে এনে দাও।
সিরাজ মিয়া জানায়, বিগত ৩০-০৪-২০১৭ তারিখে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সিরাজ মিয়ার স্ত্রী শিল্পী বেগমকে বিদেশে মহিলা মাদ্রাসায় ভাল চাকুরীর লোভ দেখিয়ে সৌদি আরবে প্রেরণ করে প্রতিবেশী নবিয়াবাদ গ্রামের শিশু ভুইয়ার ছেলে মঞ্জিল ভুইয়া। শিল্পীকে সৌদি আরবে পাঠানোর পর থেকে মাদ্রাসায় না দিয়ে চাকুরী দেওয়া হয় এক বাসায়। যেখানে সে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছেন বলেন জানায়। সেই সাথে তার উপর চলছে বিভিন্ন নির্যাতন। সে সৌদি আরব থেকে মাঝে মধ্যে ফোন করে তার স্বামীর কাছে কান্নাকাটি করে তার কষ্টের কথা জানান এবং দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি করেন। তার স্বামী দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সিরাজ মিয়া স্ত্রীর এ কষ্টের কথা শুনে পাগল প্রায়। নিরুপায় হয়ে স্ত্রীকে দেশে আনার জন্য দালাল মঞ্জিল ভুইয়ার দারে দারে ঘুরছে। কিন্তু মঞ্জিল কোন পাত্তা দিচ্ছে না।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সিরাজ মিয়া জানান, আমার আর্থিক সরলতার সুযোগ নিয়ে মঞ্জিল মিয়া ও তার বোন রেনুফা বেগম আমার স্ত্রী ও আমাকে বৈধ ভাবে মহিলা মাদ্রাসায় চাকুরী করে মাসে ৩০হাজার টাকা বেতনের লোভ দেখায়। তাদেরকে বিশ্বাস করে আমার স্ত্রী শিল্পীকে তাদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু তারা আমার ও আমার স্ত্রীর সাথে প্রতারণা করে আমার স্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে বিপদে ফেলে দেয়। এখন আমার স্ত্রী কোথায় আছে আমি জানি না। মাঝে মধ্যে সে বিভিন্ন নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে কান্নাকাটি করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি জানায়।
এ ব্যপারে মঞ্জিল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার বলে বলেন, তার স্ত্রী শিল্পী বেগম বিদেশে ভাল আছে। টাকা পাঠাচ্ছে নিয়মিত।
এ ঘটনায় সিরাজ মিয়া বাদী হয়ে গত ২৩/০৪/২০১৮ ইং নরসিংদী বিজ্ঞ মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আলোকিত খবর ডটকম/মো: মোস্তফা খান।