খন্দকার শাহিন,নরসিংদী প্রতিদিন,শনিবার,১২ মে ২০১৮: নরসিংদী সদর উপজেলার শিলমান্দীতে অটোরিক্সা ছিনতাই ও চালক হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৯জনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এছাড়া বিশেষ অভিযানে ভিবিন্ন এলকা থেকে চুরি ও ছিনতাই হওয়া ১০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা উদ্ধার করে পুলিশ।
আজ বেলা সাড়ে ১১ টায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল-মামুন।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুঁড়িগ্রামের রাঙ্গালিরকুটি এলাকার জহির আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৮), গাজীপুরের কাপাসিয়ার বাগিয়া এলাকার স্বপন ভূঁইয়ার ছেলে তুহিন মিয়া (১৯), নরসিংদীর মধ্য কাউরিয়াপাড়া এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), মনোহরদীর চালাকচর গাংপাড় এলাকার সাহাবুদ্দীনের ছেলে বুলবুল আহমেদ (২৫), মাধবদীর বড় গদাইরচর এলাকার কাউসার মিয়ার ছেলে রনি মিয়া (২৪), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরের আল আমিন হোসেন (২৩), নবীনগরের জসিম উদ্দিন (১৯), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের সায়েম মিয়া (৩৫) ও মাধবদীর বিরামপুরের নুরুল ইসলাম।
তারা অস্থায়ীভাবে নরসিংদী শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে।
পুলিশ সুপার জানান, ‘চক্রের সদস্যরা তিন চার জন মিলে প্রথমে একটি ইজিবাইক ভাড়া নেয়। পরে তারা সুবিধাজক জায়গায় চালককে হত্যা করে লাশ নির্জন স্থানে ফেলে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নরসিংদী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জসহ আশপাশের জেলায় একই কায়দায় চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই করে আসছিল। ছিনতাইয়ের পর প্রতিটি ইজিবাইক ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রির পর ৫/৬ হাজার টাকা করে নিজেরা ভাগাভাগি করে নিতো। মাত্র ৫ হাজার টাকার জন্য একজন চালককে খুন করা এই চক্রের কাছে স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই চক্রের সদস্যদের একাংশ ধরা পড়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে।’ গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৫ জন গত ২৯ এপ্রিল নরসিংদীর শীলমান্দি এলাকার ইজিবাইক চালক হাবিবুর রহমান এবং ১০ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার দগরিয়া এলাকায় অজ্ঞাত এক ইজিবাইক চালক হত্যায় সরাসরি জড়িত ছিল বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে বিভিন্ন স্থান থেকে ছিনতাই হওয়া ১০টি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।