নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন, বৃহস্পতিবার, ২৪ মে ২০১৮: ভোলার চরফ্যাসনে এক ধর্ষককে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছেন নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার। একই সঙ্গে ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী ও তার পরিবারকে ছয় মাস ধরে বিচারের আশ্বাসে ঘুরাচ্ছেন চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চরফ্যাসন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের কাজল ফরাজির ছেলে মিঠুন একই ইউনিয়নের শাহাবুদ্দিনের ১২ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের বিচার চাইতে চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের কাছে যান নির্যাতিত কিশোরী ও তার মা-বাবা। এরপর নানা অজুহাতে তাদের ঘুরাতে থাকেন চেয়ারম্যান। কিছুদিন পর নির্যাতিত কিশোরীকে চেয়ারম্যানের হেফাজতে রাখা হয়। সেই সঙ্গে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের আশ্বাস দেয়া হয়।
এরই মধ্যে এক ব্যক্তিকে কাজি ও হুজুর সাজিয়ে ৩ লাখ টাকা দেনমোহরে মিথ্যা বিয়ের আয়োজন করে চেয়ারম্যান। সেখানে মেয়ে পক্ষকে জোর করে রাজি করালেও ছেলে পক্ষের কেউ আসেনি। এভাবে চলতে থাকে চেয়ারম্যানের নাটক। দীর্ঘ সময় পার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
কিছুদিন পর ধর্ষক মিঠুনকে কৌশলে চট্টগ্রাম পাঠিয়ে দেন চেয়ারম্যান আলমগীর। চলতে থাকে বিয়ের আশ্বাস ও ধর্ষককে ধরে আনার হুমকি। পাশাপাশি নির্যাতিত কিশোরীর বাবার কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া হয় ৫৫ হাজার টাকা।
গত ছয় মাস চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের কাছে বিচার চেয়ে এমন প্রতারণার শিকার হওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী ও তার মা-বাবা।
অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর বাবা শাহাবুদ্দিন বলেন, মেয়েকে নিয়ে আমি ও আমার স্ত্রী চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদারের কাছে একাধিবার যাই। বিচারের নামে আমার কাছ থেকে ৫৫ হাজার টাকা নেয় চেয়ারম্যান। পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা খেয়ে ধর্ষক মিঠুনকে কৌশলে চট্টগ্রামে পাঠিয়ে দেন চেয়ারম্যান।
নির্যাতিত কিশোরীর ভাষ্য, ছয় মাস আগে আমাকে ধর্ষণ করে মিঠুন। মা-বাবাকে নিয়ে ধর্ষণের বিচার চাইতে চেয়ারম্যানের কাছে যাই। চেয়ারম্যান বিচার করবে করবে বলে ৬ মাস আমাকে হেফাজতে রাখে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।
বিষয়টি স্বীকার করে নীলকমল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হাওলাদার বলেন, আমি ধর্ষকের সঙ্গে ওই কিশোরীর বিয়ের আয়োজন করেছি। কিন্তু আমার কথা ছেলে শোনেনি। মিঠুন পালিয়ে গেছে। তাই বিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি।