নরসিংদী প্রতিদিন,রবিবার ০৩ জুন ২০১৮: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তা অতিরিক্ত ফি ও জরিমানা চাপিয়ে ছাত্রদেরকে সরকারের প্রতি বিষিয়ে তুলছে। এটি সরকারের বিরূদ্ধে অপতৎপরতার অংশ। মাননীয় দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষক, ছাত্র ও কর্মচারি নির্বিশেষে সবার প্রতি সহানুভূতিশীল।এতদ্বিষয়ে তাঁর সুদৃষ্টি কামনা করছি।
সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত অসহায় ছাত্রদের ওপর দ্বৈত ভর্তির অভিযোগে জনপ্রতি টাঃ-১০,৭০০/Ñ(দশ হাজার সাত শত) জরিমানা ধার্য করেছে। যার স্মারক নম্বর- ১০(৭৬১) জাতীঃ বিঃ/ রেজিঃ/ অ্যাকাঃ/ অনলাইন ভর্তি (অংশ)/ ২০১৭-১৮/ ১৯৪৭, তারিখ- ২০/০৫/২০১৮। এতে নিরীহ ছাত্রদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। তারা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেছে। তারা কর্তৃপক্ষের আরো রোষানলে পড়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে দাপ্তরিক ব্যাপ্তি বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি। ছাত্রসংখ্যাও তুলনামুলক বেশি। সরকারের বরাদ্দ ততোধিক নয়। তাই ছাত্রদের থেকে যথেষ্ট ফি নেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি আরো ফি ও জরিমানা ধার্য্য করে, তা ছাত্রদের ওপর কঠিন বোঝা হয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, দ্বৈত ভর্তি বাতিলের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক ব্যর্থতার ব্যাপার। ছাত্ররা প্রতি ভর্তিতে বড় অংকের অর্থ গুনেছে। তারা উন্নত প্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বা বিশেষ কারণে পরবর্তীতে আবারো সমপরিমাণ অর্থ গুনেই ভর্তি হয়েছে। দাপ্তরিকভাবে এমনিতেই প্রথম ভর্তি বাতিল হবার কথা। কর্মকর্তা-কর্মচারিরা গড়িমসি করে উক্ত ভর্তি বাতিলের নামে এখন অতিরিক্ত জরিমানা আদায়ের অপতৎপরতা চালাচ্ছে। অসংখ্য অপতৎপরতার মধ্যে এটি একটি উদাহরণ। মূলত এতে ছাত্রদের সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী করা হচ্ছে। এটি গভীর ষঢ়যন্ত্র।
মাননীয় দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের প্রতি খুবই দ্বায়িত্বশীল। তিনি ইচ্ছে করলে, জরিমানা দুরের কথা; সকল ফি মওকুফ করতে পারেন। ষঢ়যন্ত্রকারী অসাধু কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।
নরসিংদী প্রতিদিন/লক্ষন বর্মন