নিজস্ব প্রতিবেদক,নরসিংদী প্রতিদিন,রবিবার,১০ জুন ২০১৮: আমি ২০০৯ সালে পোল্ট্রি শিল্পে বড় ধরনের বিনিয়োগ করি। টাকা কামানোর জন্য এটি করিনি। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে মানুষের সেবার মানসিকতা নিয়ে এই খাতে বিনিয়োগ করেছি।
গতকাল শনিবার বিকেলে নরসিংদীর ড্রিম হলিডে পার্কে জেলার পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবর্তন ডটকমের প্রধান সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব লেলিন এসব কথা বলেন।
নীলসাগর এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এই অনুষ্ঠানের আয়োজক। নরসিংদী জেলা পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ওমর ফারুক মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— নীলসাগর গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. আরমান হাবিব, পারচেজ অ্যান্ড ইকুপমেন্ট পরিচালক মো. রূপক হাসান, নরসিংদীর প্রাইভেট ডক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মো. আব্দুর শুকুর প্রমুখ।
নীলসাগর এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের (সাউথ জোন) পক্ষে মো. আব্দুল কুদ্দুস ইফতার পূর্ব মোনাজাত পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে নরসিংদী জেলার ডিলার, খুচরা ব্যবসায়ী ও শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি মুনাফা লাভের জন্য পোল্ট্রিখাতে ব্যবসা করতে আসিনি। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে মানুষের সেবার মানসিকতা নিয়ে এই খাতে বিনিয়োগ করেছি। এরপর থেকে বুঝেছি, বড় মন না হলে এখানে টিকে থাকা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমি মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করি, তাদের খাবার তৈরি করি, ডিম উৎপাদন করি। কিন্তু, প্রশ্ন আসতে পারে, সব যদি আমি উৎপাদন করি, তাহলে আমি এত খামারি কেন তৈরি করলাম?’
আক্ষেপের সুরে আহসান হাবীব বলেন, ‘এখন যেভাবে পোল্ট্রি ব্যবসা চলছে, সেটি অব্যাহত থাকলে এই ব্যবসা টিকে থাকবে কিনা আমি সন্দিহান। কারণ, আজ পোল্ট্রি ব্যবসা বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সবই যদি বড় ব্যবসায়ীরা নিয়ন্ত্রণ করেন, তাহলে খামারিদের কি প্রয়োজন? পোল্ট্রি ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে হলে উৎপাদনকারী, ডিলার এবং খামারিদের ভালো থাকাটা জরুরি। তারা ভালো থাকলেই এই খাতে গণজাগরণ আসবে বলে আমি মনে করি।’