মোমেন খান, শিবপুর প্রতিনিধি সোমবার ২৫ জুন ২০১৮: শিবপুর উপজেলার খৈনকুট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের অফিসে টানানো বঙ্গবন্ধু, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার ছবি, অফিসের চেয়ার টেবিল ভাংচুড়সহ অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো : বাদল মিয়াকে লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অত্র বিদ্যালয়ের বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসাব নিকাশ নিয়ে সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাসাদ মাস্টারের সাথে দির্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলছে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় ডিজি, স্থানীয় এমপি, উপজেলা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে, বিষয়টি লিখিত ও মৌখিক ভাবে অবহিত করা হয়েছে।
২৪ জুন রবিবার সকাল ১১টায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদা বার্ষিক আয় ব্যায়ের দুর্নীতির তদন্ত করতে গেলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় তিনি চলে আসার জন্য সিএনজিতে উঠেন। ঠিক এই মূহুর্তে ওনার উপস্থিতিতে সহকারী শিক্ষক আসাদ মাস্টার, খালেক মাস্টার, হাবি ফরাজী, দপ্তরী হাবি, তার স্ত্রী আয়া কামরুন নাহার ও ছেলে মাজেদ সভাপতিকে গালমন্দ করে, অফিস রুমে ধরে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে।
প্রত্যক্ষদর্শী কুদ্দুস আলী মেম্বার, স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মজিবুর রহমান, খোকন ও সাবেক শিক্ষক মোজাম্মেল হক খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ থেকে বিদ্যালয়ে আটককৃত সভাপতিকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করে রাতে বাড়িতে নিয়ে আসে।
শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রথমে বিদ্যালয়ের সভাপতি পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক আলাদা ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তের মাধ্যেমে অভিযোগসহ মামলা গ্রহন করা হবে। বিষয়টি ইউএও, শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির কারণে স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন বন্ধ থাকায় জাল সই করে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন তোলা হয়েছে বলে জানায় সভাপতিসহ এলাকার গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। আজ রবিবার স্কুলটি দুপুর ১২টায় ছুটি হওয়ায় ও দ্বন্দের ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী এই বিষটির তদন্তের মাধ্যমে অবসান চেয়ে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন করেন। এসময় পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শিক্ষক/শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে খৈনকুট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফাসাদ মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
# নরসিংদী প্রতিদিন/ লক্ষন বর্মন