শরীফ ইকবাল রাসেল*শনিবার,১৪ জুলাই ২০১৮ খ্রি. নরসিংদী প্রতিদিন
তিন বছর আগের এই দিনে রথযাত্রায় গিয়ে আর ফিরে আসেনি ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সুপ্রিয় সাহা প্রিংকন। তাকে দুস্কৃতিকারীরা হত্যা করে নদীতে ফেলে রাখে। সুপ্রিয় সাহার ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে তার খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ঘোড়াশাল পৌর অডিটোরিয়ামে এক মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।
পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র সুপ্রিয় সাহা প্রিংকন এর হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবীতে বক্তব্য রাখেন তার পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী।
২০১৫ সালের ১৮ মে ঘোড়াশাল পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র সুপ্রিয় সাহা প্রিংকন এলাকাবাসীর সাথে রথযাত্রায় অংশ নিয়ে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে নিখোঁজের একদিন পর ঘোড়াশাল শীতলক্ষা নদীতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। এ সময় মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহৃ পাওয়া যায়। ঘটনার পর নিহত প্রিংকনের মা পপি রানী সাহা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে পলাশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলাটির তদন্তভার সিআইডিতে চলে গেলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিহতের মোবাইল ফোন ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে হত্যার সাথে তিন আসামির জড়িত থাকার বিষয় নিশ্চিত করেন। তারা হলেন, ঘোড়াশাল উত্তর চরপাড়া এলাকার খোকন চন্দ্র দাসের ছেলে সেন্টু চন্দ্র দাস, ঘোড়াশাল কুলুপাড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে রাসেল মিয়া ও রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া এলাকার নবাব আলীর ছেলে আজম মীর খালেক।
মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ কাসিফ সানোয়ার জানান, আসামি আজম মীর খালেক অপর দুই আসামিদের দিয়ে বিভিন্ন পণ্য চুরি করাতেন ও একসঙ্গে মাদক গ্রহণ করতেন। সেই থেকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন আসামিরা প্রিংকনকে ফোন করে ডেকে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করার লক্ষ্যে অপহরণ করে। পরে প্রিংকন চিৎকার করলে তারা তার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থানেই তার মৃত্যু হয়।
মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (সিআইডি) সৈয়দ মোহাম্মদ কাসিফ সানোয়ার নরসিংদীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার চার্জশিটটি দাখিল করেন।