শরীফ ইকবাল রাসেল,নরসিংদী প্রতিদিন,শনিবার,২১ জুলাই ২০১৮:
নরসিংদীর শিবপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও লেগুনার মুখোমুখি সংঘর্ষে নারী ও শিশুসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। ২০ জুলাইশুক্রবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার কোন্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ডের অদূরে খড়কমারা এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রামনগর এলাকার মোজাম্মেল হোসেনের স্ত্রী শরিফা বেগম (৪৫), মেয়ে জান্নাত (১৮), অজ্ঞাত শিশু (৭), অজ্ঞাত পুরুষ (২০) ও অজ্ঞাত (৩৫)। নিহতরা সবাই রায়পুরা উপজেলার রামনগর এলাকার। আহতরা হলেন, রাশিদা বেগম (৩৫), আসাদ মিয়া (৪০) জাকিয়া আক্তার (৩০) সহ অজ্ঞাত ৭ জন।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, রায়পুরা উপজেলার রামনগর এলাকার শিশু, নারী-পুরুষের প্রায় ৭০/৮০ জনের একদল লোক ৫ টি লেগুনা নিয়ে শুক্রবার সকালে নরসিংদীর ড্রীম হলিডে পার্কে বাংলাদেশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্মচারী ঐক্য ফেডারেশনের কর্মচারীদেও বার্ষিক মিলন মেলা অনুষ্ঠানে যায়। অনুষ্ঠান শেষে রাতে ফেরার পথে একটি লেগুনা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কোন্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ডের অদূরে খড়কমারা এলাকায় পৌঁছালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী এনা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস অপর একটি বাসকে পাশ কাটাতে গেলে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই জন এবং নরসিংদী জেলা হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় আনার পথে তিনজন মারা যায়।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালে প্রত্যক্ষদর্শী রাবেয়া বেগম জানান, ‘আমরা এলাকার যার যার পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন মিলিয়ে প্রায় ৭০/৮০ জন ড্রীম হলিডে পার্কে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। রাত ৯ টার দিকে ফিরছিলাম। এর মধ্যেই বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ পরে আর কিছু বলতে পারব না।’
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারি পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে দুর্ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসি। দুর্ঘটনায় মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো প্রায় ১০ জন। আহতদের মধ্যেও কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এ এন এম মিজানুর রহমান জানান, ‘জেলা হাসপাতালে মোট ১২ জনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন। আর ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে গুরুতর অবস্থায় পাঠানো হয়েছে। আর নরসিংদী সদর হাসপাতালে একটি শিশু ও একজন নারীর লাশ রয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন।’
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিউর রহমান হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাৎক্ষনিক দুজনের নাম পাওয়া গেছে। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি। তবে সবাই রামনগর এলাকার বাসিন্দা সেটা নিশ্চিত হওয়া গেছে।