নিজস্ব প্রতিবেদক★
নরসিংদী প্রতিদিন,সোমবার,২৩ জুলাই ২০১৮:
নরসিংদীর সরকারি কলেজগুলোতে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে চরম বিপর্যয় ঘটেছে। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
শিক্ষকদের গাফিলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারেনি বলে অভিমত পোষণ করেছেন শিক্ষাবিদরা।
নরসিংদী সরকারি কলেজে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী এসএসসিতে জিপিএ ৫ নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছে মাত্র ২৪ জন। দুই হাজার ৪০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৬৭৫ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৩৫ জন, মানবিক বিভাগের ৪০৭ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ২৩৩ জন অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
নরসিংদী সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এক হাজার ১৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে ৫০১ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৬৮ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ১২৯ জন ও মানবিক বিভাগের ৩০৪ জন অনুত্তীর্ণ হয়েছে। এবার এ প্রতিষ্ঠানটি থেকে কেউ জিপিএ ৫ পায়নি।
তা ছাড়া সরকারি শিবপুর শহীদ আসাদ কলেজ থেকে এক হাজার ৫২১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অনুত্তীর্ণ হয়েছে এক হাজার ৯৭ জন।
অর্থাৎ এ কলেজের বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১৩৬ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ৩৩৯ জন ও মানবিক বিভাগের ৬২২ জন শিক্ষার্থী অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
নরসিংদী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহানারা বেগম বলেন, ‘কলেজের সর্বোচ্চ পাঠদান নিশ্চিতকরণে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু কলেজটিতে সারা বছর উচ্চ মাধ্যমিক, ডিগ্রি, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা থাকায় ও অন্যান্য জটিলতায় ক্লাস করানোর সুযোগ হয় না। এসব কারণে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় খারাপ করছে। ’
নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ফলাফল বিপর্যয়ে শিক্ষক হিসেবে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। আমাদেরও কিছুটা গাফিলতি আছে। তা ছাড়া শিক্ষার্থীরাও ক্লাসমুখী না হয়ে কোচিংমুখী হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে তাঁদের বেরিয়ে আসতে হবে। ’
নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা মিয়া বলেন, ‘শিক্ষকদের যথাযথ তদারকি না থাকায় পর্যাপ্ত ক্লাস হচ্ছে না। তাই শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমাদের সময় ফলাফল এত খারাপ হয়নি। বর্তমানে সরকারি কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীরা গর্ব নিয়ে ভর্তি হলেও তাদের লজ্জা নিয়ে বের হতে হচ্ছে। ’
সূত্র: কালেরকণ্ঠ,মনিরুজ্জামান,নরসিংদী।