লাইফস্টাইর ডেস্ক,নরসিংদী প্রতিদিন,সোমবার,২৩ জুলাই ২০১৮: নাক ডাকা সমস্যায় অনেকে ভোগেন। মাঝবয়সী ও বয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি হয়। বিকট শব্দে নাক ডাকা যা বন্ধ দরজা দিয়েও পাশের ঘর থেকে শোনা যায়, তা সব বয়সেই অস্বস্তিকর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি শ্বাসের রাস্তায় বাতাস ব্যাপকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে হয়ে থাকে, একে অবসট্রাকটিভ স্লিপ এপনিয়া বলে।
আমরা অনেক সময় মনে করি নাক ডাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক নয়। নাক ডাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
আসুন জেনে নেই নাক ডাকার কারণে হতে পারে যেসব শারীরিক ক্ষতি।
মস্তিষ্কের ক্ষমতা
নাক ডাকার প্রবণতা থাকলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। ফলে আইকিউ তো কমেই, সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও ঝাপসা হতে শুরু করে।
স্ট্রোক, হার্ট ডিজিজ
নাকা ডাকার কারণে স্ট্রোক, হার্ট ডিজিজ, অ্যারিথমিয়া, জিইআর ডি, ক্রনিক মাথা যন্ত্রণা এবং ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যাও মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
নিয়মিত যারা নাক ডেকে থাকেন, তারা কী করবেন?
আদা চা
নিয়মিত আদা চা খাওয়া শুরু করলে দেহের ভেতরে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যার প্রভাবে ন্যাজাল ক্যাভিটি খুলতে শুরু করে। ফলে নাক ডাকার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
রসুন
নাকের ভেতরে মিউকাস জমতে বাঁধা দেয় রসুন। সেই সঙ্গে রেসপিরেটারি সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হতে শুরু করে, কমতে শুরু করে নাক ডাকার সমস্যা।
এক্ষেত্রে নিয়মিত ১-২ টা রসুনের কোয়া চিবিয়ে, এক গ্লাস পানি খেয়ে শুতে যেতে হবে। তাহলেই দেখবেন নাসিকা গর্জন আর আপনাকে বা আপনার প্রিয়জনকে বিপদে ফেলতে পারবে না।