নরসিংদী প্রতিদিন, ৩ আগষ্ট শুক্রবার ২০১৮ : নরসিংদীর শিবপুর মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুমন মিয়াকে গ্রেফতার বাণিজ্য ও নারী কেলেংকারির অভিযোগে ক্লোজড করা হয়েছে। গত বুধবার তাকে শিবপুর মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার করে নরসিংদী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্ত এএসআই সুমনের স্ত্রী আছমা বেগম জেলা পুলিশ সুপার ও পুলিশ পরিদর্শক ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, সুমনের সাথে ফোনে আলাপ চারিতায় তাদের ভালবাসার সৃষ্টি হয়। পরিবর্তীতে গত বছরের ০৭ সেপ্টম্বর ৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে নরসিংদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন।। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই কোন কারণ ছাড়াই এএসআই সুমন স্ত্রী আছমাকে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। কথায় কথায় ডিভোর্সের হুমকি প্রদান করত।
আছমা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর জানা যায়, এএসআই সুমন আছমাকে ছাড়াও শিবপুরের মিতু, মনোহরদীর মুক্তা, কাপাসিয়া থানার মহিলা পুলিশসহ এ পর্যন্ত ৭/৮ জন বিবাহিত ও অবিবাহিত মেয়েকে বিয়ে করেছেন। আর এক্ষেত্রে পুলিশের মতার জোরে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদেরকে ম্যানেজ করে ছাড়া ছাড়ি করে।
এ অবস্থায় গত বছরের ২২ অক্টোবর নরসিংদী পুলিশ সুপারের নিকট একটি অভিযোগ করলে তার বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। তাই বাধ্য হয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অভিযোগ করেছি।
আসমা ােভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি তার ভালবাসার জন্য আমার জীবনের সবকিছু ছেড়ে তাকে বিয়ে করছি সুখে শান্তিতে সংসার করতে। আর সে আমাকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। সে আমাকে ছেড়ে গেলেও আমি তাকে ছাড়ব না।
এদিকে অভিযুক্ত এএসআই সুমনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার বাণিজ্য ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সু-সম্পর্ক রাখার অভিযোগ রয়েছে। রাস্তায় বিভিন্ন সময় পথচারীদেরকে তল্লাসি করে কিছু পায় আর না পায় তাদেরকে মাদক দিয়ে হয়রানীর হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করে। আর অর্থ দিতে ব্যর্থ হলে মাদক দিয়ে অথবা অন্য মামলা দিয়ে অন্যায় ভাবে হয়রানি করে আসছে সে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এএসআই সুমন মিয়া বলেন, এ ব্যাপারে আমার কোন বলার নাই। যা ইচ্ছা লেখেন।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এএসআই সুমন কে নরসিংদী পুলিশ নাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর স্ত্রীর অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
# লক্ষন বর্মন,